ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ওবামার স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে ভোটাভুটি করবে রিপাবলিকানরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১১
ওবামার স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে ভোটাভুটি করবে রিপাবলিকানরা

ওয়াশিংটন: মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানরা গত বছর প্রণীত ওবামার স্বাস্থ্যবিল বাতিল বা পরিবর্তনে ভোটাভুটি করবে। সম্ভাব্য জ্বালানি ও বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান দলের নেতা ফ্রেড আপটোন রোববার ফক্স নিউজ সানডের কাছে এ কথা জানিয়েছেন।



মিশিগান অঙ্গরাজ্যের আপটোন জানান, ওবামার স্বাস্থ্যবিল বাতিলের জন্য প্রতিনিধি সভায় তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৪২টি আসন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকজন ডেমোক্রাট সদস্যও তাদের পক্ষে থাকবেন বলেও তারা বিশ্বাস করছেন।

কংগ্রেস নেতারা বুধবার ১১২ তম কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন শুরু করতে ওয়াশিংটনে জড়ো হচ্ছেন। প্রথম অধিবেশন শুরুর আগেই এ ভোট হবে বলে জানিয়েছেন আপটোন।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বিলটি বাতিল হলে ডেমোক্রাট নিয়ন্ত্রিত সিনেট এবং হোয়াইট হাউসের কার্যক্রমে এটা বড় ধরনের একটা প্রতিবন্ধক হিসেবে দাঁড়াবে।

গত বছরের মার্চে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করতে স্বাস্থ্য বিলে অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

ওবামার প্রণীত স্বাস্থ্যনীতির ফলে লাখ লাখ মার্কিনি যাদের কোনো স্বাস্থ্যবীমা নেই অথবা বীমা করার সামর্থ্য রাখে না তাদের জন্য চিকিৎসা সহজলভ্য হতে পারত বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

তবে সমালোচকরা বলছেন, এ নীতি চিকিৎসা সেবার সমাজতান্ত্রিক রূপমাত্র। আর এর ফলে কর বৃদ্ধির কারণে সরকারের আমলাতন্ত্র আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে এবং শেষ পর্যন্ত পুরো স্বাস্থ্য সেবা খাতটিই ভেঙে পড়বে।

রিপাবলিকানরা বলছেন, নতুন কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য হলো সরকারের কাজকর্মগুলো আরও বেশি পর্যবেক্ষণ করা।

ফক্স নিউজ সানডেকে রিপাবলিকান দলের কালিফোর্নিয়া প্রতিনিধি ড্যারেল ইসা বলেন, ‘প্রশাসনের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো আমলাতন্ত্র ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয়। কোনো দলকে আমরা শত্রু মনে করি না। আর আমরা অবশ্যই এ বাধা দূর করব। ’

ইসা অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারের ব্যাপারেও কড়া কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ উইকিলিকসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের বিষয়টি দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করতে পারেনি। আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট যদি অ্যাসাঞ্জকে একজন সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিজেকে অপারগ মনে করেন তাহলে অ্যাটর্নি জেনারেলের উচিত প্রেসিডেন্টকেই একজন অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। ’

বাংলাদেশ সময় ১২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।