ওয়াশিংটন: যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশি ক্ষতির শিকার হয় দরিদ্র দেশগুলো। উন্নত দেশগুলোতে ভূমিকম্প হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হলেও হতাহতের পরিমাণ কম হয়।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ত্রাণ তৎপরতা, উন্নত চিকিৎসাসেবা ইত্যাদি কারণে দুর্যোগকালীন উপদ্রুত অঞ্চলগুলো দ্রুত সহায়তা পৌঁছে দিতে পারে ধনী দেশগুলি।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত আগস্টে নিউজিল্যান্ডে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় এক লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়, অথচ এতে কেউ নিহত হয়নি। অপরদিকে হাইতিতে একই মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার লোক নিহত হয়।
২০১০ সালে ভূমিকম্প, বন্যা, টাইফুন, অগ্নিকা- প্রভৃতি দুর্যোগে পৃথিবী জুড়ে প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার মানুষ মারা গেছে। ১৯৭৬ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ বিপর্যয়ের মাত্রা।
হাইতি এবং পাকিস্তানে দুর্যোগে ক্ষতির অন্যতম কারণ এর অবকাঠামোগত দুর্বলতা। দুর্যোগের পর এ দুটি দেশের অবকাঠামোগত যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা পুনঃনির্মাণ করতে অন্তত এক যুগ লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ দুটি দেশের উন্নতির পথও বাধাগ্রস্ত হবে।
হাইতি এবং পাকিস্তানের উন্নতির পথে মূল বাঁধা হবে এর দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক মন্দা।
দুটি দেশই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত বছর বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। হাইতিতে প্রায় ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয় যা মোট জিডিপির ১১৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে এ ক্ষতির পরিমাণ ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার যা জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ২৩ ডিসেম্বর,২০১০