টোকিও: বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা স্মারকে শুক্রবার স্বাক্ষর করেছে জাপান ও তুরস্ক। জাপানি প্রতিষ্ঠানের তুরস্কে পরমাণু স্থাপনা নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য ২০ হাজার কোটি ডলারের চুক্তির ক্ষেত্রে এটি একটি পদক্ষেপ বলে কর্মকর্তারা জানান।
জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আকিহিরো ওহাতো এবং তুরস্কের সফররত জ্বালানিমন্ত্রী ত্যানের ইলদিজ এ স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
কৃষ্ণসাগরের উপকূলে তুরস্কের সিনোপ প্রদেশে পরমাণু স্থাপনা নির্মাণের স্থান নির্ধারিত হয়েছে বলে জাপানের কর্মকর্তারা জানান।
এর আগে গত মাসে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের আলোচনা হয়। কিন্তু এর সঙ্গে শত্রু দেশ জাপানের সংশ্লিষ্টাতার কারণে এ চুক্তি থেকে সরে আসে দক্ষিণ কোরিয়া।
উল্লেখ্য, উন্নত প্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া জাপানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। এসব প্রযুক্তির মধ্যে বুলেট ট্রেন, পরমাণু স্থাপনা উল্লেখযোগ্য এবং জাপানের তোশিবা, হিটাচি এবং মিৎসুবিসির মতো প্রতিষ্ঠান এসব নির্মাণ করে থাকে।
তবে প্রকল্পের জন্য ভালো প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধার ভিত্তিতে এ প্রস্তাব এখনও অন্যান্য দেশের প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত বলে তুরস্ক জানায়।
জাপানের এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘জাপান ভূমিকম্প প্রতিরোধী প্রযুক্তিসহ তুরস্কের চাহিদার অনেকটাই পূরণের প্রস্তাব দিয়েছে। ’
সিনোপে চারটি পরমাণু চুল্লি নির্মাণ করা হবে বলে তুরস্ক আশা করছে। তবে সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়গুলো এখনও আলোচনার অপেক্ষায় আছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
তবে এ বিষয়ে তিন মাসের মধ্যেই আলোচনা চূড়ান্ত করার বিষয়ে দুই পক্ষের মন্ত্রীরা সম্মত হয়েছেন। এরই পথ ধরে ২০২৩ সালের মধ্যে এ এলাকায় অন্তত দুটি পরমাণু স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে আঙ্কারা আশা করছে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে রাশিয়ার সঙ্গে ২০ হাজার কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে তুরস্ক। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ভূমধ্যসাগর উপকূলের অ্যাক্কুইয়ুতে দেশের প্রথম পরমাণু স্থাপনা নির্মাণ করবে তুরস্ক।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১০