পেশোয়ার: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের ব্যস্ত একটি বাজারে সরকারি কার্যালয়ের পাশে শুক্রবার বোমা হামলায় ৫৫ জন নিহত ও ১০৪ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা রসুল খান সাংবাদিকদের বলেন, “৫৫ জন নিশ্চিত নিহত এবং ১০৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ”
তিনি আরও বলে, “আমরা সন্দেহ করছি, দুই বার বোমা হামলা হয়েছে। মোটরবাইকের মাধ্যমে একটি আত্মঘাতি হামলা হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আমরা একটি বিধ্বস্ত গাড়িও পেয়েছি। এটি রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের চিহ্ণ। ”
বড় ধরনের এ বিস্ফোরণে সরকারি প্রশাসনিক ভবন, দোকান-পাট, স্থানীয় কারাগার এবং আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী ছোট্ট ওই শহরটির অন্যান্য ভবনেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আক্রান্ত অঞ্চল মোহমান্দের এলাকার ইয়াকাগহুন্দ শহরকে আল কায়েদার বৈশ্বিক সদর দপ্তর বলে বিবেচনা করে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে এই স্থানকে বিশ্বের সবচেয়ে সবচেয়ে ভয়ংকর এলাকা মনে করা হয়। এলাকাটি আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছাকাছি। এখানে মার্কিন বাহিনীর নেতৃত্বে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার সেনা তালেবান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
হামলায় আহত রাজ ওয়ালি (২৩) নামের একজন শ্রমিক জানান, বিস্ফোরণ স্থানের পাশেই তিনি কাজ করছিলেন। এ সময় তিনি একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পান। পেছনে ফিরে দেখেন পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। লোকজন কাঁদছে। তিনি নিজেও মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহতদের মধ্যে আদিবাসী পুলিশ রয়েছে। বিস্ফোরণের পর জেল থেকে ২৮ জন আসামী পালিয়ে গেছে।
গত মে মাসের পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। মে মাসে আল কায়েদার অন্তত ৮২ জন নিহত হয়েছিলো। গত তিন বছরে তালেবান ও আল কায়েদার প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।
ওই সরকারি কার্যালয়ের আরেক কর্মকর্তা মাকসুদ আহমেদ বলেন, “হুইলচেয়ার বিতরণের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় কার্যালয়ের বাইরে অনেক লোক দাঁড়িয়ে ছিলো। ”
তিনি বলেন, “হামলার কারণে সরকারি কার্যালয় এবং স্থানীয় কারাগারের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে কিছু বন্দী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ”
এদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১০