ব্যাংকক: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজিভা বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সঙ্কট সুচারুভাবে মোকাবেলা করলেও আগামী বছর তাকে গুরত্বপূর্ণ নির্বাচনী পরীক্ষার সম্মুখিন হতে হবে।
চলতি বছরের এপ্রিল এবং মে মাসে ব্যাংককের প্রাণকেন্দ্রে থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থনকারী ‘লাল জামাধারী’ বিক্ষোভকারীরা সরকারবিরোধী আন্দোলনে শুরু করে।
কিন্তু ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া, অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করা ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দলের প্রধান এই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেন। তিনি বিরোধীদলীয় ‘লাল শার্ট’ এবং সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে চলতি মাসে তার সরকারের তৃতীয় বছর শুরু করেন।
উল্লেখ্য, থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করার পর থেকে থাইল্যান্ডে বিভিন্ন সময়ই রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে। সিনাওয়াত্রার সমর্থকরা ২০০৭ সালে ক্ষমতাগ্রহণ করলেও বিচারসংক্রান্ত আইনের মাধ্যমে দু’জন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এর মাধ্যমেই অভিজিতের ক্ষমতাগ্রহণের পথ সুগম হয়। অভিজিৎ ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্যাংককের সেনাবাহিনী এবং অভিজাত সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় সংসদীয় নির্বাচনে জয়ী হন। সামনের বছর তিনি বড় ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। কারণ এসময় তাকে সাধারণ নির্বাচন আহ্বান করতে হবে।
ুব্যাংককের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান থিতিনান পংসুধিরাক বলেন, ‘আভিজিৎ টিকে গেছেন, তবে তিনি সমঝোতা স্থাপন করতে পারেননি। আমরা আরও সাংঘর্ষিক অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভাবা যাবে না যে, ডেমোক্রেটিক দল সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে জয়ী হবে। যদিও বিরোধীদল এখন বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে দল ছেড়ে অনেকেই চলে গেছে। এতোকিছুর পর তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজয়ী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। ’
এদিকে, ভোট পাওয়ার জন্য অভিজিতের ডেমোক্রেটরা জনপ্রিয় সব কৌশল অবলম্বন করছে। এরমধ্যে আছে বিনা বেতনের স্কুল ও বয়স্কভাতা প্রদান ইত্যাদি।
কিন্তু এগুলো অভিজিৎকে জয়ী হতে খুব একটা সাহায্য করবে না উল্লেখ করে থাইল্যান্ডের একজন বিশেষজ্ঞ এবং প্রাক্তন কূটনৈতিক পাভিন চাচায়লাপংপুন বলেন, ‘তাকে দরিদ্রদের মন জয় করতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ২৭ ডিসেম্বর ২০১০