অটোয়া: মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে কানাডা সফরের আমন্ত্রণ ও তাকে দেশটির নাগরিকত্ব গ্রহণেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার সু চিকে আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, ‘অং সান সু চি এবং যারা মিয়ানমারের গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারলে আমরা গর্বিত বোধ করবো। ’
একইসঙ্গে অং সান সু চিসহ মিয়ানমারের অন্য গণতান্ত্রিক ও আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে দেশটির সরকারের অর্থপূর্ণ আলোচনারও আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ২০০৭ সালেই সুইডেনের হলোকাস্ট নেতা রাউল ওয়ালেনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা এবং বিশ্বের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের মুসলমানদের নেতা আগা খানের সঙ্গে সঙ্গে সু চি-কেও সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় কানাডা।
১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চি’র দল বড় ধরনের জয় পেলেও দেশটির সামরিক জান্তা কখনো দলটিকে ক্ষমতায় যেতে দেয়নি। বরং ক্ষমতা গ্রহণের পরিবর্তে তাকে ১৫ বছর গৃহবন্দী করে রাখে দেশটির জান্তা সরকার।
এদিকে, ১৩ নভেম্বর তাকে মুক্তি দেওয়া হলেও এর আগেই দেশটিতে নির্বাচন সম্পন্ন করে সামরিক সরকার। তবে একে প্রতারণা উল্লেখ করে এ নির্বাচন বর্জন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০