করাচি: পাকিস্তানের চলমান সংকট নিয়ে মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে দেশটির জোট সরকার। জোট সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দুজন মন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলে ওই সংকটের সৃষ্টি হয়।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি সংখ্যালঘু সরকারের সম্ভাব্যতা এড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি রেহমান মালিক, তার নিকটতম মিত্র কয়াম আলি শাহ, দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রির সঙ্গে ওই বৈঠক করেন।
পাকিস্তানের জোট সরকারের দ্বিতীয়-বৃহত্তম দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট ( এমকিউএম) সোমবার জানায় তাদের দুজন মন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রি ফারুক সাত্তার এবং নৌপরিবহন মন্ত্রী বাবর ঘোরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাদের পদত্যাগ বাস্তবায়ন হলে জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে।
এমুহুর্তে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্টে ১৮১ আসন নিয়ে আছে। এর মধ্যে এমকিউএমের রয়েছে ২৫ টি। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখার জন্য ১৭২ টি আসন প্রয়োজন।
এরআগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দলের তিনজন মন্ত্রী এবং সাতজন সাংসদ পদত্যাগ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিপিপি’র একজন নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ‘প্রেসিডেন্ট এমকিউএমের সমর্থন হারাতে চায় না। এছাড়া তিনি এই মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতেও প্রস্তুত নন। এ মতানৈক্য দূর করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এমকিউএমের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১০