ইয়াকাগুন্দ: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মুহমান্দ জেলার ইয়াকাগুন্দের শহরের আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০২-এ উন্নীত হয়েছে। শুক্রবার শহরের ব্যস্ততম বাজারে ওই হামলার ঘটানা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আফগান সীমান্তবর্তী শহড়টিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি প্রশাসনিক কার্যালয়, দোকান, একটি কারাগার এবং অন্যান্য ভবনের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
হামলায় আহত রাজ ওয়ালি (২৩) নামের একজন শ্রমিক জানান, বিস্ফোরণ স্থানের পাশেই তিনি কাজ করছিলেন। এ সময় তিনি বিকট শব্দ শুনতে পান। পরে পেছনে ফিরে দেখেন পুরো এলাকায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। লোকজন কাঁদছে। তিনি নিজেও মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।
বিস্ফোরণ স্থলের সরকারি কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাকসুদ আহমেদ বলেন, ‘হুইলচেয়ার বিতরণের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় কার্যালয়ের বাইরে অনেক লোক দাঁড়িয়ে ছিলো। ’
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা রসুল খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, দুইটি বোমা হামলা হয়েছে। মোটরসাইকেলের মাধ্যমে একটি আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। এছাড়া ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আমরা একটি বিধ্বস্ত গাড়িও পেয়েছি। আমরা ধারণা করছি রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে গাড়িবোমাটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ’
নিহতদের মধ্যে আদিবাসীও পুলিশ রয়েছে। বিস্ফোরণের পর জেল থেকে ২৮ জন আসামী পালিয়ে গেছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ইসতিয়াজ গুল জানান, আদিবাসী অধ্যুসিত এ অঞ্চল খুবই বিপদ জনক । তিনি বলেন, ‘হামলার কারণে সরকারি কার্যালয় এবং স্থানীয় কারাগারের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে কিছু বন্দি পালিয়ে গেছে। ”
আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছাকাছি ওই এলাকায় মার্কিন বাহিনীর নেতৃত্বে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার সেনা তালেবান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। ইয়াকাগুন্দ শহরটি আলকায়দার শক্ত ঘাটি।
উল্লেখ্য , চলতি মাসের দুই তারিখেও পাকিস্তানের লাহোরে ইসলামিক জঙ্গিদের দুটি ভয়াবহ আত্মঘাতি হামলায় ৪৩ জন নিহত হয় । এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে নেতারা জাতীয় সীমানা নির্ধারন ও পাল্টা আঘাতের কৌশল নির্ধারণ করার জন্য সম্মেলন আহবান করেছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬০৪ ঘন্টা, ১০ জুলাই, ২০১০