আবিদজান: আইভরি কোস্ট গণহত্যার বিপজ্জনক প্রান্তসীমায় রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘে নিয়োগ পাওয়া দেশটির নতুন রাষ্ট্রদূত। খবর বিবিসির।
রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার কারণে দেশটিতে মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন হচ্ছে বলে ইয়ুসুফু বাম্বা এক টিভি সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন।
নিয়োগ পাওয়া বাম্বাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার জাতিসংঘের নিউইয়র্ক সদরদপ্তরে অভ্যর্থনা জানানো হয়। মূলত ওয়াত্তারার পক্ষে জাতিসংঘের সমর্থন দৃঢ় করার লক্ষ্যেই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাম্বা বলেন, ‘ওয়াত্তারা স্বাধীন, ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। ’
‘আমার পক্ষ থেকে এ বিতর্কের অবসান হয়েছে এবং এখন জিবাগবো কিভাবে এবং কখন কার্যালয় ছেড়ে যাবেন এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি। ’
গত কয়েক সপ্তাহে সংঘটিত ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে বর্তমানে ওয়াত্তারা চিন্তিত বলে বাম্বা জানান।
তিনি বলেন, ‘শুধু আন্দোলন করতে চাওয়া, নিজেদের অধিকারের কথা বলতে চাওয়া এবং জনগণের ইচ্ছাকে রক্ষা করতে চাওয়ার জন্য ১৭২ জন নিরাপদ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ’
‘এটা অপ্রত্যাশিত। তাই এ পর্যন্ত আমি যতোগুলো আলোচনায় অংশ নিয়েছি সব জায়গায় এটাই বলার চেষ্টা করেছি যে আমরা গণহত্যার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। ’
‘আদিবাসীদের ঘরবাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সামনে কি ঘটতে যাচ্ছে তা বর্তমানে উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কিছু করা উচিত। ’
উল্লেখ্য, আইভরি কোস্টের ক্ষমতাসীন নেতা লরেন্ট জিবাগবো তার প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যালাসানে ওয়াত্তারার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওয়াতারা জয়ী হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে উভয়ই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দাবি করেন জিবাগবো ও ওয়াত্তারা।
তবে ওয়াত্তারার জয় অবৈধ বলে দাবি করে জিবাগবো। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একে আরও উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে জাতিসংঘ ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০