ঢাকা: যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে দমকা বাতাস ও ভারি বৃষ্টি সহ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘সেন্ট জুড’ আঘাত হেনেছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও এ অঞ্চলের বৈদ্যুতিক সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই অকার্যকর হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার ভোরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ অঞ্চলের অনেক বিমান ফ্লাইট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ট্রেনের বেশ কিছু শিডিউল। এছাড়া, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এ অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বেশ কিছু ব্রিজেও যান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোর ছ’টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল হয়ে যেতে পারে। এ জন্য ভ্রমণের আগে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
দেশটির সড়ক যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দমকা বাতাসের কারণে লন্ডনসহ বেশ কিছু অঞ্চলের বিশেষ পরিবহন সার্ভিসও বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
এছাড়া, রেলযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সম্ভবত সকাল ন’টার আগে কিছু অঞ্চলে ট্রেন ছাড়তে পারবে না।
এর আগে, রোববার বিকেলে প্রবল বৃষ্টিপাত ও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ইংল্যান্ড ও ওয়ালেসের লাখো লাখো মানুষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। সতর্কবার্তায় বলা হয়, রোববার রাতে ও সোমবার ভোরে প্রচণ্ড গতিতে আঘাত হানতে পারে সেন্ট জুড।
যুক্তরাজ্যের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলেও সতর্কতা দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় ২০ থেকে ৪০ মিলিমিটারে ৬ থেকে ৯ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
একইসঙ্গে ওয়ালেস ও ইংল্যান্ডে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। প্রবল বন্যার আশঙ্কায় যুক্তরাজ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। এ সতকর্তার মাধ্যমে ‘সচেতন’ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
সেন্ট জুডের নামানুসারে ওই ঝড়ের নামকরণ করেছেন ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদরা। সেন্ট জুড ধর্মগুরু যিশুর ১২ জন দূতের একজন ছিলেন বলে ধারণা খ্রিস্টানদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে