ঢাকা: সাফল্যজনকভাবে মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশে যাত্রা করলো মঙ্গলয়া, মঙ্গল পানে উৎক্ষেপিত ভারতের নভো খেয়াযান।
মঙ্গলের অরবিটালে স্থাপনে সফল হতে পারলে ভারত হবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার পর চতুর্থ শক্তি যাদের পতাকা মঙ্গলের কক্ষপথে উড়বে।
ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত সতীশ দেওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে গ্রিনিচ সময় ০৯টা ০৮ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয় মঙ্গলয়া মার্স মিশন যার সংক্ষেপিত নাম এমএমএম।
ট্রিপল এমের সাফল্যজনক উৎক্ষেপণের পর উৎফুল্ল মিশন প্রধান কে রাধাকৃষ্ণাণ বলেন, মঙ্গলয়ার উৎক্ষেপণ মহাকাশ প্রযুক্তিতে ভারতের কারিগরি যোগ্যতার সামর্থ্য নির্দেশ করে।
জানা গেছে, নভোযানটিকে তিনশ’দিন পরিভ্রমণের উপযুক্ত করে নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে নাগাদ এটি পৌঁছাবে মঙ্গলের সীমানায়।
উৎক্ষেপণের জন্য ৫৬ ঘণ্টার কাউন্টডাউন শুরু হয় রোববার থেকে। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে স্বপ্ন হয় বাস্তব।
মঙ্গলয়ার ওড়ার অপেক্ষায় ছিলো সাধারণ ভারতীয়রাও। এই মিশনকে ভবিষ্যতের অভিযান হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন তাদের অনেকে।
মঙ্গলয়ার উৎক্ষেপণকে ভারতের জন্য ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে ভারত মহাকাশের পথে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য এশীয় শক্তি যেমন চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে পেছনে ফেলার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
অবশ্য ভারতের এই মঙ্গল অভিযানকে অনেকেই বাঁকা চোখেই দেখছেন। তারা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, যে দেশে শিশুদের মধ্যে পুষ্টিহীনতা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ, সেখানে প্রায় সাত কোটি ২০ লাখ ডলার খরচে এ ধরনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলাসিতা কি না ?
তবে প্রকল্পের সমর্থকরা বলছেন, ভারতের মঙ্গলাভিযান অপেক্ষাকৃত সস্তা এবং এই প্রকল্পের কারণে সাধিত কারিগরি দক্ষতা পরোক্ষভাবে হলে দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রে উপকার বয়ে আনবে।
তার ওপর যদি নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে মঙ্গলয়া সফলভাবে মঙ্গলের কক্ষপথে স্থাপিত হতে পারে, তবে ভারত অন্তত একটা ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে টেক্কা দিতে সক্ষম হবে।
চীনের ইংহুয়ো-১ নামের ওই মঙ্গল যানটি ২০১২ সালে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায় ঠিকই তবে রাশিয়ার ফোবোস গ্রান্ট রকেটের ঘাড়ে চড়ে।
সেক্ষেত্রে মঙ্গলয়া মঙ্গল পৌঁছালে ভারতের কৃতিত্ব স্বাভাবিকভাবেই চীনকে টেক্কা দেবে।
মঙ্গলয়ার মঙ্গল অভিযান ভারতের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে এই প্রার্থনা এখন শত কোটি ভারতীয়’র।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৩
আরআই/আরআইএস