ঢাকা: যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় পোলিওর প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ শিশুকে পোলিও আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা আরও ১২ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। এরই মধ্যে ২২ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই শিশু।
২০১১ সালে সিরিয়া গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় ৯৫ শতাংশ শিশুকে পোলিওর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, ৫ লাখ শিশুকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়নি।
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে দের এজ্জরে পোলিওর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে ডব্লিউএইচও-এর মতে সংক্রামক রোগ অধিকাংশ সময় দূষিত দানাদার ও তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করলে ব্যক্তি আক্রান্ত হয়।
ডব্লিউএইচও-এর মুখপাত্র অলিভার রোজেনবাউর বলেছেন, এটি আসলে ছোঁয়াচে রোগ। এক স্থান থেকে মানুষ অন্য স্থানে গেলে রোগটিওর সেখানে বিস্তার ঘটে। সুতরাং ওই অঞ্চলজুড়ে এর বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে।
দের এজ্জর প্রদেশে পাঁচ বছরের কম এক লাখের বেশি শিশু রয়েছে। তারা এখন পোলিওতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
দের এজ্জর এর কিছু অংশ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর হাতে এবং বাকি অংশ বিরোধীদের দখলে রয়েছে।
যুদ্ধের কারণে সিরিয়ায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে আশ্রয়চ্যুত হয়েছে। এসব মানুষদের শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ জনাকীর্ণভাবে বাস করতে হচ্ছে।
হাম, টাইফয়েড ও হেপাটাইটিস এ সহ বিভিন্ন রোগের ছড়াছড়ির কথা এর আগেই জানিয়েছিল ডব্লিউএইচও।
উন্নত বিশ্বে পোলিও ব্যাপকভাবে নিমূল করা গেলেও নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে রয়ে গেছে। এর প্রতিকার না থাকলেও ধারাবাহিক ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এর মোকাবেলা করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৩
এসএফআই/আরকে