ঢাকা: পানিতে থইথই পুকুর বা নদীর কথা ভাবতেই যাদের ‘ভয়ে’ গলা শুকিয়ে যায়, লন্ডনের গ্রানিচ শহরের চিত্রগ্রাহক লাকি রায়ের তোলা ছবিগুলো দেখলে তারা আঁতকেও উঠতে পারেন, আবার সাঁতার শেখার ‘অনুপ্রেরণা’ও লাভ করতে পারেন!
৩৩ বছর বয়সী লাকি ১০ বছর ধরে একটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করছিলেন। তবে পানির নিচের বৈচিত্র্যময় চিত্রগ্রহণের জন্য সেই পেশা ছেড়ে দেন তিনি।
সম্প্রতি স্থানীয় একটি শিশু সাঁতার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কিছু ছবি ফ্রেমবন্দী করেন ডুবো আলোকচিত্রী লাকি।
সর্বোচ্চ ৬ মাস বয়সী শিশুদের এসব ছবি ফ্রেমবন্দী করতে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কৌশল ও গতিশীলতার আশ্রয় নিতে হয়েছে লাকিকে।
লাকি বলেন, যখন শট নেবো তার আগে শিশুদের মায়েরা তাদের নাম ধরে বলেন, ‘প্রস্তুত? শুরু!’ তখনই সুইমিংপুলে লাফিয়ে পড়ে পুচকেগুলো!
তিনি বলেন, বয়স অল্প হওয়ায় যেহেতু ওরা বেশিক্ষণ পানির নিচে থাকতে পারবে না তাই দ্রুতই আমাকে ছবিগুলো ফ্রেমে আটকাতে হয়!
ক্যামেরায় এক সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৬টি ছবি ক্যাপচার করতে পারার ক্ষমতা থাকায় এই কাজ সহজ হয় বলে জানান লাকি।
লাকি বলেন, ছবি তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হতে হয় শিশুদের চোখ-মুখের ভাব দেখে!
পানির নিচে হলেও ক্যামেরা যখন ওদের দিকে তাক করে ফ্ল্যাশ ফেলে তখন ওরা দু’চোখ বড় বড় করে চেয়ে থাকে!
লাকি মজা করে বলেন, অল্প সময়ের জন্য হলেও শিশুদের এই সাঁতার থেকে ‘পানিভীতুরা’ শিক্ষা নিতে পারেন!
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৩
এইচএ/এমজেএফ/আরকে