ঢাকা: তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামার ব্যাপারে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে চীন সরকার। গণমাধ্যম ও ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দালাইলামার ‘উস্কানিমূলক মন্তব্য’ নীরব করে দিয়ে তিব্বতকে ‘স্থিতিশীল’ প্রদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কমিউনিস্ট সরকার।
শনিবার তিব্বতে দায়িত্বরত চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা চেন কুয়াগৌ দলের জনপ্রিয় জার্নাল ‘কিউশি’তে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, রাষ্ট্রের শত্রু ও দালাইলামা গ্রুপের বক্তব্য আর শোনাও যাবে না এবং তাদের দেখাও যাবে না।
চেন বলেন, পুরো চীনের মধ্যে কেবল কমিউনিস্ট পার্টিরই আওয়াজ শোনা যাবে এবং তাদেরই দেখা যাবে। এ লক্ষ্যেই কাজ করছেন দেশপ্রেমিক কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েক দশক ধরে তিব্বতে স্বাধীনতার লক্ষ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামা।
চীন সরকার বেশ কিছু দশক ধরে তিব্বতের তথ্য ও যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও স্থানীয়রা রেডিও, টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
তবে ১৯৫৯ সালে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর ভারতে পালিয়ে আসা দালাইলামা বলেন, তিনি চান স্বাধীনতা না হলেও অন্তত তিব্বতকে যেন স্বায়ত্ত্বশাসন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৩
এইচএ/আরআইএস