অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ায় বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির অন্যতম মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির।
অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং মার্কিন জনগণের পক্ষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কুইন্সল্যান্ডবাসীর প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ক্যানবেরায় আমাদের দূতাবাস গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ত্রাণ সহায়তার ব্যাপারে আমরা অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। এ বিপদের মুহূর্তে আমরা অবশ্যই আপনাদের পাশে আছি। ’
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া জুড়ে সাম্প্রতিক বন্যায় নদীর পানি বেড়ে দু’কূল ছাপিয়ে কুইন্সল্যান্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বাস্তুচ্যুত শতশত মানুষের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করতে সামরিক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত বুধবার থেকেই রকহ্যাম্পটনে ফিটজরয় নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। ফলে শত শত মানুষ ওই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কুইন্সল্যান্ডে স্মরণকালের ভয়াবহতম এ বন্যায় শহরের রাস্তা-ঘাট ও বিমানবন্দর অচল হয়ে গিয়েছে। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কমপক্ষে ৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বন্যায় কুইন্সল্যান্ডের ২০ শহরের মধ্যে সবগুলোই হয় বিচ্ছিন্ন অথবা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যাক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ লাখ অধিবাসী।
অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় পত্রিকাগুলো বলছে, রকহ্যাম্পটন শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায়, ধ্বংসস্তুপের ছড়াছড়িতে এবং সেই সঙ্গে মশার উৎপাতে ৭৭ হাজার অধিবাসীর ভোগান্তি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিবাসীদের অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে এবিসি নিউজের খবরে জানা য়ায়।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্যার কারণে অস্ট্রেলিয়ার মুদি দোকান ও সুপারমার্কেটে পণ্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং খনিশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রতিদিন ১০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার রাজস্ব আয় খোয়াচ্ছে। ফলে পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় মজুদে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১১