ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডের সিনেটে সাধারণ ক্ষমা বিল বাতিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৩
থাইল্যান্ডের সিনেটে সাধারণ ক্ষমা বিল বাতিল

ঢাকা: বিতর্কিত সাধারণ ক্ষমা বিল প্রত্যাখান করেছে থাইল্যান্ডের সিনেট। বলা হচ্ছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রাকে দেশে ফেরত আনতেই সরকার বিলটি তুলেছে।



২০০৬ সালে থাইল্যান্ডে অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় যারা অপরাধ করেছে তাদের ক্ষেত্রে ওই ক্ষমা কার্যকর হতো। ওই অভ্যুত্থানে থাকসিন ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন।

কয়েকদিন আগে বিলটি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হয়। এরপর থেকে বিলটির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।

সোমবার বিলটি সিনেটে পাঠানো হয়। এসময় ব্যাংককের রাস্তায় নামেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও থাকসিনের বোন ইংলাক শিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, তিনি সিনেটের সিদ্ধান্তে সম্মান দেখাবেন।

ক্ষমতাসীন পিউ থাই পার্টির তোলা বিলটি  সমঝোতার একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছিল বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

অভ্যুত্থানের পর ব্যাংকের প্রধান বিমানবন্দরে বিক্ষোভাকারীদের দখলে যায় এবং ২০১০ সালে ব্যাংককের রাস্তায় দুই মাসব্যাপী বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে প্রায় ৯০ জন নিহত হয়।

সমালোচকরা বলছেন, বেসামরিক বিক্ষোভকারীদের হত্যাকারী শাস্তি থেকে রেহাই দিতে বিলটি আনা হয়েছে।
প্রধানবিরোধী ডেমোক্রেট পার্টি বলছে, এটির উদ্দেশ্য হচ্ছে কারাদণ্ড ভোগ না করে থাকসিনকে দেশে ফিরিয়ে আনা।

দুর্নীতিতে অভিযুক্ত থাকসিন স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার ওপর অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিরোধী একটি দলের বর্জনের পরও নিম্নকক্ষে বিলটি পাস হয়। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে সরকারি দল বিলটি থেকে নিজের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় এবং ১৪১ সদস্য বিশিষ্ট সিনেটের সবাই এর বিরুদ্ধে ভোট দেন।

সিনেটের ডেপুটি স্পিকার সুরাচি লেঙবোনলের্টচাই বলেন, বিবেচনার জন্য বিলটি প্রত্যাখান করছে এই হাউজ।

এক বিক্ষোভকারী জানান, আমরা বিশ্বাসকারী আগামীকাল থেকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কমে আসবে।

কেননা বিক্ষোভ করার কোনো কারণ আর নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৩
এসএফআই/আরকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।