ইসলামাবাদ: দেহরক্ষীর গুলিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান তাসেরের মৃত্যুতে বুধবার জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বড় সম্প্রদায়গুলো শোক এবং নিন্দা প্রকাশ করেছে। খবর বিবিসির।
এছাড়াও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সমর্থকেরা লাহোরের রাস্তায় এই হত্যাকা-ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান এই হত্যাকা-কে ‘বর্বরোচিত’ বলে নিন্দা জানান। ইউ-এর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ক্যাথরিন অ্যাশটন একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘পাকিস্তানে পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান তাসিরের হত্যাকা-ে আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন তাসিরের এ মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘গভর্নর তাসিরের সঙ্গে আমার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল। সহনশীলতা ও আগামী প্রজন্মের শিক্ষাও ওপর তার কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। তার মৃত্যু একটি বিশাল ক্ষতি। পাকিস্তানের সরকার এবং জনগণ যদি তাদের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় তাদের সাহায্য করবে। ’
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন তাসিরের মৃত্যুকে ‘পাকিস্তানের জন্য বিশাল ক্ষতি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেইগ বলেন এই হত্যাকাণ্ডে তিনি মর্মাহত।
ধর্ম অবমাননা আইনের (ব্লাসফেমি) ঘোর বিরোধিতা করায় সালমান তাসিরকে (৬৬) তারই দেহরক্ষী মঙ্গলবার গুলি করে হত্যা করে। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি তিনদিনের শোকদিবস ঘোষণা করেন।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেন দেহরক্ষী মালিক মুমতাজ হোসাইন কাদরি হত্যাকা-ের জন্য স্বীকার করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই দেহরক্ষী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বীকার করেছে যে সম্প্রতি তাসির ব্লাসফেমি আইনের বিরোধিতা করায় সে হত্যাকা-টি ঘটিয়েছে। তবে আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি এই হত্যাকা- সে একাই ঘটিয়েছে নাকি এর পেছনে আরও কেউ আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, ০৫ ডিসেম্বর ২০১১