ঢাকা: বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমালোচনা ও চাপের মুখে তৃতীয় দফা ভোটগ্রহণ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে পদত্যাগ করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওয়াহিদ। এছাড়া, বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি দেশত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সূত্র।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে ওয়াহিদের পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করা হয়।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ বিদ্রোহের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ পদত্যাগ করার পর ক্ষমতাগ্রহণ করেন ওয়াহিদ। তবে, সংবিধান অনুযায়ী ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করে পদত্যাগ না করায় ওয়াহিদের কঠোর সমালোচনা করে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
এছাড়া, রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে ব্যর্থ হওয়ায় গত বুধবার মালদ্বীপকে আন্তঃসরকার সহযোগিতামূলক সংস্থা কমনওয়েলথ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, আগে-ভাগে গোপনে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে ‘ব্যক্তিগত সফরে’ গেছেন ওয়াহিদ। এর আগে অবশ্য, নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ওয়াহিদ দাবি করেন, বিদেশি চাপের কাছে তার সরকার মাথা নত করবে না এবং সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন করার কাজ চালিয়ে যাবে।
গত ৯ নভেম্বরের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে শনিবার তৃতীয় দফা নির্বাচনে লড়বেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ও সাবেক স্বৈরশাসক মামুন আবদুল গাইয়ুমের ভাই ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম।
গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম দফা নির্বাচন হয়েছিল। সেবারের নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন নাশিদ। তবে ক্ষমতাগ্রহণের জন্য সাংবিধানিকভাবে যথেষ্ট ছিল না। এরপর দুই দফা ভোটগ্রহণ পিছিয়ে গত ৯ নভেম্বর নির্বাচনী ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৩
এইচএ/আরকে