জুবা: পৃথিবীর মানচিত্রে সাউথ সুদান নামের আরেকটি নতুন দেশের উন্মেষ ঘটতে যাচ্ছে। আগামী ৯ থেকে ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় গণভোটে সে দেশের জনগণ এ সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাউথ সুদানের পক্ষে বিস্ময়কর সংখ্যক ‘হ্যাঁ’ ভোট অপেক্ষা করছে।
তবে সুদানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির সতর্ক করে বলেন, গণভোটের মাধ্যমে যদি নর্থ সুদান থেকে সাউথ সুদান আলাদা হয়ে যায়, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।
আল জাজিরা টেলিভিশনকে এক সাক্ষাৎকারে বশির বলেন, সাউথ সুদানের এখনো তার জনগণকে সেবা দেওয়ার মতো সামর্থ্য তৈরি হয়নি। ২০০৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে বশির সুদানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, নির্বাচনের আগে সর্বশেষ জনসভায় সাউথ সুদানের রাজধানী জুবায় শুক্রবার স্বাধীনতার দাবিতে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ করে।
দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলা নর্থ ও সাউথের যুদ্ধ সমাপ্তির পর করা ২০০৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী দেশটিতে আগামী ৯ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
টিভি চ্যানেলকে বশির বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি, কেন এতো মানুষ সাউথ সুদানের স্বাধীনতা চাচ্ছে। কারণ সাউথের মানুষ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। ’
উল্লেখ্য, সাউথ সুদানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বা স্থানীয় নানা ধর্মের অনুসারী এবং নর্থ সুদানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। এই গণভোটের মাধ্যমে পৃথিবীতে আরেকটি নতুন রাষ্ট্রের উদ্ভব হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১১