ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লালগড়ে হত্যাকাণ্ড

গ্রেপ্তার ৩: কফিন নিয়ে তৃণমুলের মিছিল

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১১
গ্রেপ্তার ৩: কফিন নিয়ে তৃণমুলের মিছিল

কলকাতা: লালগড়ে গণহত্যার প্রতিবাদে শনিবার কলকাতাসহ সারা রাজ্যে কালো দিবস পালন করল তৃণমুল। লালগড়ে মৃতদের কফিন নিয়ে তৃণমুল সমর্থকদের মিছিলে অংশ নিলেন রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।



রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার রির্পোট জমা পড়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। এই রির্পোটে বলা হয়েছে সিপিএমের ঘরছাড়াদের গ্রামছাড়া করতে জমায়েত হয়েছিল বেশ কিছু মানুষ। তখন পিছন থেকে পটকা ও গুলি চলে, এরপর ঘরছাড়াদের পক্ষ থেকে গুলি চলে। দুপক্ষের গুলি বিনিময় চলে বেশ কিছুক্ষণ।

শনিবার দুপর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত রাজ্যের সর্বত্র তৃণমুল কর্মী ও সমর্থকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয়। পাশাপাশি পরিবর্তনপন্থী বুদ্ধিজীবীরাও কলকাতার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একটি বিশাল ধিক্কার মিছিল করেন। এর পাশাপাশি কংগ্রেস ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছ্াত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সড়কে, রেলপথে অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

দুপুর ১২টা নাগাদ লালগড়ের নেতাই গ্রামে পৌঁছন মমতা ব্যানার্জি। সেখানে তাকে ঘিরে ধরে শোকের মাতন করতে থাকেন নিহত ও আহতদের পরিবারের মানুষজন। নেতাই গ্রামের মাঠে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘ভয় পাবেন না। আমি আছি আপনাদের পাশে। সাহস করে রুখে দাঁড়ান। ’ এরপর তিনি একটি প্রতিবাদ সভা করেন।


সেখান থেকে মমতা আসেন মেদিনীপুর শহরে। মৃত সমর্থক লাশ নিয়ে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে তিনি শহর পরিক্রমা করেন।

এদিকে, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এদিনই মেদিনীপুর শহরে  আসে। সেখানে শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, নেতাই গ্রামে তাদের নেতা রথীন দ-পাটের বাড়িতে ঘরছাড়া সিপিএম সমর্থকদের শিবির ছিল। ওই শিবিরে আচমকা হামলা করেছে মাওবাদী ও তৃণমুলরা। সেই ঘটনার প্রতিরোধ করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে।

্মমতা ব্যানার্জি লালগড় থেকে চলে যাবার পর সিপিএমর পক্ষ থেকে কয়েক হাজার মানুষের একটি বিশাল মিছিল অঞ্চল পরিক্রমা করে।

এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে খুনোখুনি বন্ধ হওয়া উচিত।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারতের নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি এদিন কলকাতায় এসে বলেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা ভোটের ওপর প্রভাব ফেলবে।

ভারতীয় সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।