পাটনা: বিহারে ভারতীয় জনতা পার্টির ( বিজেপি) এমএলএ বা বিধায়ক রাজ কিশোর কেসরি হত্যাকান্ড পুর্ণিয়ার ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘কুইসলিং’-এর সম্পাদক নবলেশ পাঠককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশটির সাংবাদিকরা মনে করছেন, এতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিজেপির ওই নেতা গত ৪ জানুয়ারির তার বাসভবনে রূপম পাঠক নামের এক স্কুল শিক্ষিকার ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তার অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে কেসরি তাকে ধর্ষণ করেছেন। আর নবলেশ পাঠকই প্রথম কেসরির যৌন হয়রানি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন।
এরপর রূপমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (এফআইআর) করেন কেসরির ভাগ্নে। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার নবলেশকে গ্রেপ্তার করে। বিহার আদালত শুক্রবার তাকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগের হেফাজতে পাঠায়।
তেহেলকা ম্যাগাজিনের সিনিয়র করেসপন্ডেট এরশাদুল হক বলেন, ‘নবলিশ পাঠকের গ্রেপ্তারে আমি সত্যিই মর্মাহত এবং এই গ্রেপ্তারের কারণও বুঝতে পারছি না। সত্য সংবাদ প্রকাশ করা কি কোনো অপরাধ?’
নিউজ ইন্ডিয়ার রাজনৈতিক সম্পাদক নিখিল আনন্দ বলেন, এটি খুবই লজ্জাজনক, কেলেঙ্কারীর সংবাদ প্রকাশ করায় একজন সাংবাদিককে কারাবন্দী করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি কেসরি হত্যার কিছুক্ষণ পরেই নবলিশের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাচ্ছিল্যে সুরে বলেন, তার সাময়িকী খুবই ছোট এবং এর প্রকাশনাও গুরুত্বপুর্ণ নয়।
এদিকে, নবলিশের স্ত্রী রুমা পাঠক অভিযোগ করছেন, পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে এবং কারাগারে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১১