লন্ডন: জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও এখন থেকে আর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা থাকছে না ব্রিটেনের রাজপরিবারের। আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে শনিবার এ তথ্য জানা যায়।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘রাজা, সিংহাসনের প্রথম ও দ্বিতীয় উল্টরাধিকারীকে তথ্যপ্রকাশ সংক্রান্ত আইন থেকে সম্পূর্ণভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ’
এর আগে, ব্রিটেনের তথ্য স্বাধীনতা আইনের আওতায় সরকারের দরিদ্র তহবিল থেকে রাজপ্রাসাদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে রানী অনুরোধ করলে তা ফাঁস হয়ে যায়। এ নিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে রাজপরিবার।
ব্রিটেনের রানীসহ সিংহাসনের উল্টরাধিকারী প্রিন্স চার্লসের সাংবিধানিক অবস্থান রক্ষার জন্য এ আইন পরবির্তনের প্রয়োজন ছিল বলে বাকিংহাম প্যালেসের এক মুখপাত্র মন্তব্য করেন। মুখপাত্রের বরাত দিয়ে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট সংবাদপত্র এ তথ্য জানায়।
নতুন এ ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছে রাজপরিবার বিরোধী রিপাবলিক দল। এ দলের মুখপাত্র গ্রাহাম স্মিথ বলেন, ‘রাজপরিবার একটি জনপ্রতিষ্ঠান, এটি আমাদের রাজনেতিক কাঠামোর একটি অংশ এবং পুরোপুরি জনগণের অর্থায়নে এর তহবিল গঠিত হয়। তাদের সব ধরনের কর্মকা- বিষয়ে জানার অধিকার জনগণের আছে। ’
তবে নতুন এ আইনের কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রাখার সময়সীমা ৩০ বছর থেকে কমে ২০ বছর করা হয়েছে।
২০০৫ সালে বিগত লেবার সরকারের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার তথ্য স্বাধীনতা আইন পাস করেন। তবে এ নিয়ে তখন অনেক মতভেদ দেখা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১১