ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

টুইটারের প্রতি মার্কিন আদালত

উইকিলিকস সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য প্রদান করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১১
উইকিলিকস সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য প্রদান করুন

ওয়াশিংটন: সামাজিক ওয়েবসাইট টুইটারের প্রতি উইকিলিকস সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তির গোপন তথ্য প্রদানে নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কেন্দ্রীয় আদালত। উইকিলিকস সূত্রে শনিবার এ তথ্য জানা যায়।

খবর এএফপি. সিএনএন ও ফক্স নিউজের।

চার ব্যক্তির মধ্যে আছেন, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, আইসল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য বার্র্গিত্তা ইয়োন্সদোত্তির। তবে আর দুই জনের নাম জানা যায়নি।

এদের ব্যক্তিগত বার্তা, যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য, আইপি অ্যাড্রেস এবং ব্যক্তিগত বিস্তারিত তথ্য হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে উইকিলিকস সূত্রে জানা যায়। একইসঙ্গে উইকিলিকসের নিজস্ব অ্যাকাউন্টের তথ্যও হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় টুইটারের কাছে আইসল্যান্ডের এক পার্লামেন্ট সদস্যের ‘টুইট’ করা ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই মন্ত্রী । বার্র্গিত্তা ইয়োন্সদোত্তির নামের ওই মন্ত্রী উইকিলিকসের সাবেক স্বেচ্ছাসেবী।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে টুইটার জানায়, ‘এ নির্দেশ বিষয়ে আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করবো না। তবে ব্যবহারকারীদের অধিকার রক্ষায় তাদের সহায়তা করব। এজন্য তাদের তথ্য বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি অনুরোধের ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের অবহিত করা আমাদের নীতিমালার অংশ। ’

এ বিষয়ে আইসল্যান্ডের মন্ত্রী বার্র্গিত্তা ইয়োন্সদোত্তির বলেন, ‘২০০৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে টুইটারে আমি কি লিখেছি মার্কিন সরকার তা জানার চেষ্টা করছে। তবে শুধু টুইটার নয় অবশ্যই তারা আরও অনেক কিছুই জানার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা বোধহয় জানতে পারেনি আমি আইসল্যান্ডের পার্লামেন্টের একজন সদস্য। ’ তিনি এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।

তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমার তথ্য জানার বিষয়ই নয়। বরং উইকিলিকসের সঙ্গে জড়িত সবার জন্যই এটি একটি সতর্কবার্তা। মার্কিন বিচার বিভাগের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ খুবই অপ্রত্যাশিত। আমি ভাগ্যবান যে আমি সংসদ সদস্য। অন্যদের কি হবে? এ ধরনের হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া আমার কর্তব্য। ’

গত বছর উইকিলিকসের ফাঁস করা একটি ভিডিও প্রকাশ করেন বার্র্গিত্তা ইয়োন্সদোত্তির । ভিডিওতে ইরাকে মার্কিন সেনা হেলিকপ্টার থেকে রয়টার্সের দু’জন সাংবাদিককে গুলি করা হচ্ছে বলে দেখা যায়। মার্কিন সেনা সদস্য ব্র্যাডলি ম্যানিং এর সহায়তায় এ ভিডিও পাচার হয় বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে।  

২০০৯ সালে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকিয়াভিকের মার্কিন দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জকে আমন্ত্রণ জানান বার্র্গিত্তা ইয়োন্সদোত্তির। এখানে অ্যাসাঞ্জ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ করেন।

উল্লেখ্য, টুইটারে আসা সব বার্তা সাধারণের কাছে প্রকাশ করা হলেও ব্যবহারকারীরা এখানে ব্যক্তিগত নানা তথ্যও সংরক্ষিত রাখতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।