ঢাকা: দেশের বাইরে যাবেন স্থল বা আকাশপথে। সীমান্ত বহির্গমন বা শুল্ক বিভাগে আপনাকে দিতে হবে আপনার পরিচয়।
কিন্তু লাইনে দাঁড়ানোর দিন শেষ হয়ে আসছে। আপনি হেঁটে গেলেই শনাক্ত করা যাবে আপনি আসলের ‘আপনি’ কিনা! শুল্ক বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাসপোর্টও দেখাতে হবে না! শুধু একটি যন্ত্রকে আপনার ‘গায়ের গন্ধ’ শুকতে দিতে হবে।
এমনই যন্ত্র তৈরির দাবি করেছেন স্পেনিশ গবেষকেরা। গবেষকদের দাবি, তাদের ‘ইলেক্ট্রনিক ব্লাডহাউন্ড’ যন্ত্রটি মানুষের গায়ের গন্ধ শুকে পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম।
মাদ্রিদের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির গ্রুপ অব বায়োমেট্রিক্সস, বায়োসিগন্যালস অ্যান্ড সিকিউরিটির (জিবি২এস) গবেষকেরা বলেছেন, তাদের এ ব্যবস্থা ৮৫ শতাংশের বেশি সঠিক।
গবেষক দল বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরের গন্ধের বৈশিষ্ট্য চিহ্নিতযোগ্য যা অপরিবর্তিত থাকে। আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া ও চোখের মনি দেখে পরিচয় শনাক্ত ব্যবস্থাকে একদিন হটিয়ে দেবে তাদের অভিনব এ ব্যবস্থা।
প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব গায়ের গন্ধ রয়েছে এবং এটি একদল ব্যক্তির মধ্যে তাকে শনাক্ত করাবে। এ গন্ধ শুকে পরিচয় শনাক্ত করার ব্যবস্থার যথার্থতার মাত্রা ৮৫ শতাংশের ঊর্ধ্বে।
তারা বলছেন, এ ব্যবস্থা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার প্রক্রিয়াকে সহজতর করে তুলবে এবং এটি অন্যান্য বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির ব্যবহারের চেয়ে কম বিরক্তিকর।
বিমানবন্দরের বর্হিগমন পথে যাত্রীদের পরচয় শনাক্ত করতে এ ব্যবস্থা চালু হতে পারে। তারা বলছেন, বর্তমানে অধিকাংশ বিমানবন্দর ও সীমান্ত তল্লাশিকেন্দ্রগুলোতে পরিচয় শনাক্ত করা হয় ব্যক্তির পরিচয়পত্রের বা পাসপোর্টের ছবি মিলিয়ে দেখার মাধ্যমে। বর্তমানে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট জালিয়াতি করার কঠিন হলে। তারপরও সীমান্তের তল্লাশিকেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও বাড়িয়ে দেবে তাদের বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি।
চোখের মনি দেখে বা আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় শনাক্ত করার বিষয়টি অপরাধী চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
তবে গন্ধ শুকে পরিচয় শনাক্ত করার বিষয়টি কিন্তু নতুন নয়। গোয়েন্দা কুকুরা ঘটনাস্থলে অপরাধীর ফেলে যাওয়া বস্তুর গন্ধ শুকে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারে। স্পেনিশ গবেষকদের এ যন্ত্র উদ্ভাবন কুকুরের গন্ধ শুকে পরিচয় শনাক্ত করার নব সংস্করণ বলা যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৪