সিউল: যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জাতিসংঘের সঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রথম বারের মতো উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতিসংঘ কমান্ডের একজন মুখপাত্রের মতে, দুই পক্ষের সবাই সীমান্তের গ্রাম পানমুনজম এলাকায় যুদ্ধজাহাজ ডুবির ঘটনা নিয়ে আলোচনায় মিলিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ একটি আন্তর্জাতিক তদন্তেও যুদ্ধজাহাজ চিওনান ডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করা হয়। গত মার্চের ওই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার ৪৬ জন নাবিক নিহত হন।
উত্তর কোরিয়া বার বার এ অভিযোগ নাকচ করে আসছে। একইসঙ্গে দেশটির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জবাব দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
মার্কিন কর্নেল কুর্ট টেইলর ও উত্তর কোরিয়ার কর্নেল পাক কি-ইয়ং এর মধ্যে বৃহস্পতিবারের আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী আলোচনা বসার জন্য মূলত এই আয়োজন।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জাহাজ ডুবির ঘটনায় নিন্দা জানায়। তবে কোনো দোষারোপ করেনি আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
এদিকে, গত বুধবার পেন্টাগন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ নৌমহড়ার আয়োজনের ঘোষণা দেয়। চীনের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও মূলত উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করতেই এই আয়োজন। এ উপলক্ষে পেন্টাগন মুখপাত্র জিওফ মরেল বলেন, প্রতিরক্ষ মন্ত্রী রবার্ট গেটস ও পররাষ্ট্্র মন্ত্রী হিলারি কিনটন সিউলে আগামী ২১ জুলাই বৈঠকে বসবেন। এখানে নৌমহড়ার বিষয়টি অনুমোদন করা হবে। নৌমহড়াটি পীত সাগর ও জাপান সাগরে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১০