ঢাকা: বাস গহীন বনে কিংবা চিড়িয়াখানায়! শহর তো দূরে থাক লোকালয়ে-ই আসা হয় না খুব একটা! কিন্তু এখন সে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঘর-বাড়ি, বাসার ছাদে, দোকানপাট অথবা মার্কেটে।
ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার দূরত্বের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মিরাটে একটি চিতাবাঘের তাণ্ডবে শহর জুড়ে চলছে ছুটি! বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলছে, চিতার ভয়ে শহরজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় চিতাটিকে দেখা গেলেও আটক করতে পারেনি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত দুইদিন ধরে বাঘটি নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন ও বন কর্মকর্তাদের।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ যাদব বলেন, আমরা চিতাবাঘটির অবস্থান নিশ্চিত করতে পারিনি। কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। তাই শহরের স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে গত রোববার সকালে। মিরাটের সদর বাজার এলাকার একটি কাঠের গুদাম ঘরে। সকালে ওই দোকানে যেতেই হলুদের উপর গোল গোল কালো ছাপের চিতা থাবা দিতেই হইচই পড়ে যায়।
এরপর স্থানীয় উৎসুক লোকজনের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশও। তবে কেউ-ই আটকাতে পারেননি চিতাটিকে।
মানুষজনের ছুটোছুটি ও হৈ-হুল্লোড়ে এরইমধ্যে চিতাটি লাফ দিয়ে লাগোয়া সেনা হাসপাতালে ঢুকে যায়।
এ সময় হাসপাতালের একটি কক্ষে চিতাটিকে আটকে রাখা হয়েছিল। পুলিশ-সেনা ও বন কর্মকর্তারাও ছুটে আসেন হাসপাতালে।
অচেতনের জন্য ট্যাবলেট জাতীয় গুলি ছোঁড়া হয়। তবে কোন কাজ হয়নি। হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের কক্ষের জানালা ভেঙ্গে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় বাঘটি।
জেলা বন কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার বলেন, চিতাবাঘটিকে খোঁজা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে এমন খবর পেলেও এর সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে পারিনি, তবে চেষ্টা চলছে।
এদিকে আশপাশের কোনো জঙ্গল থেকে চিতাটি শহরে প্রবেশ করতে পারে বলে বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪