ঢাকা: নিঁখোজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজ উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেক পর রাডার থেকে হারিয়ে যাওয়ার তথ্য এ কয়েকদিন জানা গেলেও নতুন তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা। তারা দাবি করছেন, ট্রাফিক কন্ট্রোলার রুমের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগের পর উড়োজাহাজটি আরো চারঘণ্টা আকাশে উড়েছিল।
শুধু তাই নয় উড়োজাহাজটি কোনো অজ্ঞাত স্থানের দিকে গিয়ে থাকতে পারে বলে তারা মনে করেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পর্যবেক্ষক এবং জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নিঁখোজ বোয়িং৭৭৭ এর রোলস-রয়েস ইঞ্জিন থেকে ভূ-পৃষ্ঠে পাঠানো স্বয়ংক্রিয় তথ্যের যাচাই-বাছাই করেই তারা বিমানটি সম্পর্কে নতুন এ তথ্য পান। সে তথ্য ঘেঁটেই দেখা যায় উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর সর্বমোট পাঁচঘন্টা উড়েছিল।
উড়োজাহাজটি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ তথ্য রহস্যকে আরো ঘনীভূত করল। এই চারঘণ্টা কেন উড়োজাহাজটি উড়েছিল এবং কে বা কারা এর নিয়ন্ত্রণে ছিল এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর আগে নিখোঁজ উড়োজাহাজের পাইলটের শেষ কথা প্রকাশ করে মালয়েশীয় কর্মকর্তারা। সে সঙ্গে উড়োজাহাজের একজন পাইলটের ছবিও প্রকাশ করে। তারও আগে বিভিন্ন সময় উড়োজাহাজটির চিহ্ন বা ধ্বংসাবশেষ অনেকে পাওয়া দাবি করলেও অবশেষে কিছুই পাওয়া যায়নি বলে প্রমাণ হয়েছে। এ নিয়ে একপ্রকার ঘোরের মধ্যেই আছে নিঁখোজ বিমানের স্বজনরা।
শুক্রবার রাত স্থানীয় সময় ১২টা ৪১ মিনিটে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর ছেড়ে যায়। কিন্তু এর ঘণ্টাখানেক রাডার থেকে হারিয়ে যায় উড়োজাহাজটি।
কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী উড়োজাহাজটিতে ১৪টি দেশের নাগরিক ছিলেন। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের উড়োজাহাজে চীনের ১৫৩, মালয়েশিয়ার ৩৮, ইন্দোনেশিয়ার ১২, অস্ট্রেলিয়ার ৭, ফ্রান্সের ৩, যুক্তরাষ্টের ৩, নিউজিল্যান্ডের ২, ইউক্রেনের ২, কানাডার ২, রাশিয়ার ১, ইতালির ১, তাইওয়ানের ১, নেদারল্যান্ডসের ১ ও অস্ট্রিয়ার ১ নাগরিক রয়েছেন। এদের মধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই শিশু রয়েছে। এছাড়াও উড়োহাজাহটিতে ১২ জন ক্রু ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৪