ঢাকা: শিশুদের প্রথম পাঠশালা হচ্ছে গৃহ। আর এ গৃহের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায় থাকেন বাবা-মায়েরা।
সমাজে চলাফেরার নিয়ম-কানুন, আদব-কেতার প্রাথমিক পাঠটা শিশুরা পরিবারেই নেয়। মনুষ্যকুলের ব্যতিক্রম নয় প্রাণীকুলও। বাদামী এ ভালুকগুলো তারই স্বাক্ষর বহন করে। নিজের বাচ্ছাদের গাছে চড়া শেখাচ্ছেন মা ভালুক।
ফিনল্যান্ডের সংরক্ষিত একটি বন মা ভালুক ও তার তিন বাচ্ছাকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন দালিয়া কেভেদারাইতে ও গিদ্রিয়াস স্টাকাউস্কাস। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী মার্টিনসেলকোনেন ন্যাচার রিজার্ভে ঘুরতে যাওয়ার সময় ভালুকের এ বন্ধন চোখে পড়ে তাদের।
মা ভালুকটি নিজে একটু একটু করে উপরে উঠছেন, আর বাচ্চাদের উৎসাহিত করছেন। মায়ের দেখানো পথে সাহসী ভালুক শাবকটি গাছের চূড়ায় উঠতে পারলেও ভীতরা থাকছেন গাছের গোড়ায়। শাবকেরা ব্যর্থ হলেও শেখানোর চেষ্টা ক্ষান্ত দিচ্ছেন না মা। একে একে প্রত্যেক ভালুক শাবকই শিখলো গাছে চড়া।
কেভেদারাইতে জানান, একটি নারী ভালুক তার বাচ্চাদের নিয়ে আসলো। কিন্তু বেশ কয়েকটি শক্তিশালী পুরুষ ভালুক দূরে চলে গেলো। বাচ্চাদের এক এক করে মা গাছে চড়া শেখাচ্ছে।
তার দৃষ্টিতে, ভালুক শাবকগুলো এতো সুন্দর ও চমৎকার ছিল, বিশেষ করে ছোটটি।
মাত্র কয়েক ফুট দূর থেকে ভালুক শাবকদের খেলা দেখেছেন কেভেদারাইতে ও স্টাকাউস্কাসতারা। বেশ সময় ধরে ভালুক শাবকগুলো খেলা করছিলো। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ কোথা থেকে একটি পুরুষ ভালুক এসে পড়ল। আগ্রাসী ওই ভালুকের তাড়ায় বাচ্চাসহ মা ভালুক ৩৩ ফুট উঁচু গাছের চূড়ায় দিয়ে আশ্রয় নিলো।
মায়ের শিক্ষায় বেশ পাকাপোক্তভাবে ভালুক শাবকদের মাত্র ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডে গাছে চূড়ায় উঠা থেকে মুগ্ধ তারা।
ইউরোশীয় প্রাপ্ত বয়স্ক বাদামী ভালুকের ওজন প্রায় সাড়ে পাঁচশ থেকে সাড়ে ছয়শ পাউন্ড হয়, দৈর্ঘ্যে দুই মিটার। আর শাবকদের গড় উচ্চতা দুই ফুট পাঁচ ইঞ্চি।
বয়স্ক পুরুষ ভালুকদের এগিয়ে আসতে দেখলেই ভয়ে ভালুক শাবকেরা গাছে উঠে। পুরুষ ভালুকের খুবই আগ্রাসী হয়ে উঠলে পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে মা ভালুকের গাছে উঠা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৪