ঢাকা: রোববার স্থানীয় নির্বাচনে অনেকটা অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছে তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (একেপি)। তবে, সে পরীক্ষা বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছে একেপি সরকার।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, ভোটগণনার পর দেখা গেছে একেপি সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন মোট ৪৭ শতাংশ ভোট। ২০০৯ সালের স্থানীয় নির্বাচনে এ হার ছিল ৩৮ শতাংশ। একেপি নিজেদের সরকারের পক্ষে জনআস্থার প্রমাণ দিতে ৩৮ শতাংশ বা তার বেশি ভোটই কামনা করেছে।
এছাড়া, দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস’ পার্টি (সিএইচপি) সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন মোট ২৮ শতাংশ ভোট। আর ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি) সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন ১৩ শতাংশ ভোট।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে প্রাপ্ত এ ফলাফল রোববার রাতে জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম অ্যানাতোলিয়া।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের স্বজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী রিস্যেপ তায়্যিপ এরদোগানের সরকার থেকে বেশ ক’জন প্রভাবশালী মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এ ঘটনায় বড় ধরনের বিক্ষোভ হয় রাজধানী আঙ্কারা ও গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তাম্বুলে। তবে মন্ত্রীদের স্বজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেন এরদোগান।
নির্বাচনে জয়লাভের পর এরদোগান বলেন, এই ফলাফল নীতিহীন রাজনীতির বিরুদ্ধে জবাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৪