নতুন গবেষণা বলছে ছোট ছোট শিশুরা তাদের খেলার সাথী নির্বাচনে বর্ণবাদী মনোভাবের পরিচয় দেয়। এমনকি একে অন্যের আচরণ বিচার করে সিদ্ধান্ত নেয়।
গবেষকরা শিশুদের মধ্যে খেলনা ভাগ করার একটি খেলা খেলে বিষয়টি বের করে এনেছেন। প্রথকে দুই শেতাঙ্গ নারীর একজন খেলনাগুলো শিশুদের মধ্যে সমান ভাগ করে দেন আরেকজন কাউকে বেশি কাউকে কম দেন। আর এরপর দেখা গেলো ৭০ ভাগ শিশুই ওই নারীটির সঙ্গে খেলা করতে আগ্রহী যিনি সমান ভাগে খেলনাগুলো ভাগ করেছেন।
তবে যখন একজন শেতাঙ্গ এবং একজন এশীয় নারী খেলনাগুলো ভাগ করলেন তখন শেতাঙ্গ নারী খেলনা বণ্টনে বৈষম্য করার পরেও তাকেই বেছে নিলো শিশুরা। এতে তারা তাদের বর্ণবাদী মনোভাবেরই পরিচয় দিলো।
গবেষণা রিপোর্টটি ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
এতে আরও দেখানো হয়েছে কোনো প্রয়োজনে শিশুরা একই জাতিগত শিশুদের সহযোগিতায় বেশি আগ্রহী থাকে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন-এর একটি টিমের প্রথম নজরে আসে বিষয়টি।
গবেষকদের একজন অধ্যাপক জেসিকা সমারভিল। তিনি বলেন, গবেষণায় আমরা কর্মী হিসেবে অর্ধেকটা এশিয়ান-আমেরিকানদের রাখি বাকিরা ককেশীয়। আর শিশুদের অধিকাংশই ছিলো ককেশীয়।
তিনি বলেন, আমরা এটা জানি প্রি-স্কুল পর্যায়ে শিশুদের এক ধরনের দলের মধ্যেই পক্ষপাতিত্বের মনোভাব কাজ করে। তবে একেবারেই যারা শিশু তাদের ক্ষেত্রে ফলাফলটি মিশ্র।
শিশুরা যখন দুই শেতাঙ্গের মধ্যে যিনি সঠিকভাবে খেলনা বন্টন করলেন তাকে খেলার সাথী করে নিলো, আবার যখন একজন অশেতাঙ্গ সমান বন্টন করেও তাদের মন পেলো না তখন ধরে নিতে হবে শিশুদের মধ্যে বৈষম্যহীনতা পছন্দ, আবার তারাই বর্ণ বৈষম্য করে ফেলছে।
তিনি বলেন, ওরা যদি নিরপেক্ষতাই পছন্দ করবে তাহলে সবসময়ই যিনি নিরপেক্ষ তাকে বেছে নিতো। কিন্তু আমরা দেখেছি বর্ণে তাদের আপত্তি আছে।
বাংলাদেশ সময় ০১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪