ঢাকা: আগামী মে মাসে নতুন সরকারকে স্বাগত জানাতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ব্যাপক প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। পিছিয়ে নেই বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও।
ইতোমধ্যে, তিনি দু’বার পূর্বসূরীদের কার্যক্রম পড়েছেন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন।
এছাড়া ইউনিয়ন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে পূর্বসূরীদের মতামতও পর্যালোচনা করেছেন। সরকার গঠনের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতিদের হাতে লেখা বিভিন্ন কাগজপত্রও তিনি গুরুত্ব সহকারে পড়ছেন।
প্রণব মুখার্জির গ্রিন স্টাডি কক্ষে অন্তত তিন বাক্স দলিলপত্র রাখা আছে।
মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গঠিত হতে যাওয়া নতুন সরকারের বিষয়ে সব কিছু আয়ত্তে রাখতেই প্রণব মুখার্জির এ প্রস্তুতি।
১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকার গঠনের প্রক্রিয়ার বিভিন্ন বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং (১৯৮৯), অটল বিহারী বাজপেয়ী (১৯৯৮) এবং পিভি নরসিমা রাও (১৯৯১)-এর সরকার গঠন প্রক্রিয়া প্রণব মুখার্জির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া গত তিনমাসে তিনি সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।
এর আগে ভারতের গণতন্ত্র দিবসে প্রণব মুখার্জি বলেন, ২০১৪ সাল আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন সময়। দেশ ও জাতির জন্য আমাদের দেশপ্রেম ফের জাগ্রত করতে হবে; যা আমাদের জাতিকে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে নিয়ে যাবে।
তরুণদের কর্মসংস্থানের ফলে তারা শহর ও গ্রাম উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
তিনি ভারতের ১৬তম লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, যদি ভারতে কোনো স্থায়ী সরকার না আসে, তবে তরুণদের কর্মসংস্থান এবং শহর ও গ্রাম উন্নয়ন সম্ভব নয়।
২০১৪ সাল একটি ‘বিপত্তির’ বছরও হতে পারে বলে উল্লেখ করে প্রণব মুখার্জি বলেন, আমরা প্রত্যেকে ভোটার। তাই, আমাদের সবার দেশের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এসেছে।
প্রণব মুখার্জি আইনবিষয়ক বইগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন। মূলত, গত ৫ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই তিনি এ দিকে মনোযোগী হন।
তিনি এ বিষয়ে কারো সঙ্গেই আলোচনা করেননি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়ে শর্মিষ্ঠা ও ছেলে অভিজিতের সঙ্গেও নয়।
আগামী ১৮ মে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভি এস সাম্পাত রাষ্ট্রপতির কাছে নব নির্বাচিত ৫৪৩ জন লোকসভা সদস্যের নাম দেবেন। এ জন্য সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নতুন প্রধানমন্ত্রীকে তার সরকার গঠনের জন্য ২১ দিন সময় দেবেন।
নিয়মানুসারে, নতুন সরকার রাষ্ট্রপতির ভাষণ তৈরি করবে। এরপর স্পিকার নির্বাচন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৪