৪৭৫ জন যাত্রী নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়া ফেরির ক্যাপ্টেন ও দুই ক্রু গ্রেফতার হয়েছেন। কর্তব্যে অবহেলা ও দেশটিতে প্রচলিত নৌ-আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, গ্রেফতার হওয়া ৬৯ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন লি জুন-সিওকের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, ফেরিটি প্রথম বিপদসংকেত পাঠানোর ৪০ মিনিটের বেশি সময় পরও কেন যাত্রীদের আসন ও কক্ষে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল?
এর জবাবে লি জুন-সিওক বলেন, ঘটনাস্থলে কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ ছিল না। আশপাশে মাছ ধরার কোনো নৌকা বা অন্য জাহাজ ছিল না। ওই সময় জোয়ারের গতিও ছিল বেশি। পানি ছিল ঠান্ডা। এসব কথা বিবেচনায় যাত্রীদের ওই আদেশ দিয়েছিলেন তিনি।
গত বুধবার ইনচিয়ন থেকে দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাওয়ার সময় ৪৭৫ জন যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। এদের মধ্যে ৩২৫ জনই শিক্ষার্থী। শুক্রবার শিক্ষার্থীরা যে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন সে স্কুলের ভাইস-প্রিন্সপালের গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত ১৭৯ জন যাত্রীকে জীবিত ও ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত ২৭০ জন নিখোঁজ আছেন। এখন পর্যন্ত জাহাজ ডুবির কারণ জানা যায়নি।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও, নিখোঁজদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিখোঁজ যাত্রীরা আর বেঁচে নেই বলে ধারণা তাদের।
** ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
** চালকের আসনে ছিলেন তৃতীয় পর্যায়ের ক্যাপ্টেন!
** প্রাণহানি ২৬, নিখোঁজ ২৭০
** দ. কোরিয়ায় ফেরিডুবির ঘটনায় ৯ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ২৮৭
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৪