ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরি ডুবির ঘটনায় ১০৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এছাড়া, এখন পর্যন্ত আরও ১৯৯ জন নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কোরীয় সরকারের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হয়ে সরকার নিশ্চিত হয়েছে ফেরি ডুবির ঘটনায় ১০৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া, এখন পর্যন্ত ১৯৯ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড ও ডুবুরি দল।
এদিকে, বুধবার ফেরিডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিন শুক্রবার আট সদস্যের একটি ডুবুরি দল ফেরির ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন। ভেতরে কেউ জীবিত রয়েছেন কিনা তা খুঁজে দেখছেন উদ্ধারকর্মীরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, ডুবুরিরা ডুবে যাওয়া ফেরিটির ডাইনিং হল ও ক্যাফেটেরিয়ায় তল্লাশি চালাচ্ছেন। ফেরিটি সমুদ্রের গভীরে প্রায় ২৫ কিলোমিটার নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ডুবুরিরা।
এদিকে, নিখোঁজ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য ফেরির ক্যাপ্টেনকেই দায়ী করেছেন ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ডুবে যাওয়ার আগে ফেরির ক্যাপ্টেন ও কয়েকজন ক্রু ফেরি থেকে নেমে যান। এছাড়া, ডুবে যাওয়ার সময় ফেরির চালকের আসনে তৃতীয় পর্যায়ের একজন নবীশ ক্যাপ্টেন ছিলেন বলেও জানা যায়।
তবে ডুবে যাওয়ার পেছনে ফেরির ত্রুটিপূর্ণ অবস্থা বা ক্রুদের কোনো অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
অপরদিকে, ফেরিডুবির নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই বলেন, এটি হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত ফেরির ক্যাপ্টেনসহ অন্য ক্রুদের ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালতে বিচারের আওতায় আনার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
ফেরি ডুবির ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার পর সোমবার এমন ঘোষণা দেন তিনি।
গত বুধবার ইনচিয়ন থেকে পূর্বাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাওয়ার সময় ৪৭০ জন যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। যাত্রীদের ৩২৫ জনই ছিল স্কুল শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪