ঢাকা: ইউক্রেন ইস্যুতে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের আঙ্গুল তুলেই চলেছে ওয়াশিংটন ও মস্কো। রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের কিয়েভে ‘সাধারণ নাগরিক’দের ওপর হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে মদতদাতা বলে অভিযুক্ত করা হলেও এবার ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ইউক্রেনকে অস্থিতিশীল করার জন্য এবং পূর্ব ইউক্রেনের মানুষদের মধ্যে অন্তঃকোন্দল সৃষ্টির জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী মস্কো।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সতর্কতামূলক বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্ব ইউক্রেনের বিক্ষোভ ও অন্তঃকোন্দলের জন্য রাশিয়াই দায়ী।
মস্কোর প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে কেরি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন পরিস্থিতি শান্ত করুন, নতুবা আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে রাশিয়াকে।
অপরদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই লাভরভ এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রুশপন্থিদের ওপর কিয়েভে হামলা বন্ধ করুন।
কয়েকদিন আগে ইউক্রেন রুশপন্থিদের ওপর পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালালে রাশিয়া তার দেশের সীমান্তে সাঁজোয়া যানসহ সেনা মোতায়েন করে।
সম্প্রতি রুশপন্থি ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান প্রধান সরকারি ভবনগুলো দখলে নিলে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের পাশাপাশি পশ্চিমাদেরও উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
এর আগে, পূর্ব ইউক্রেনের জনগণ গণভোটে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দেওয়ার পর থেকেই মূলত মস্কো-ওয়াশিংটন কূটনৈতিক যুদ্ধের সূচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৪