ঢাকা: চলছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের জাতীয় সংসদ (লোকসভা) নির্বাচন। ১৬তম এ নির্বাচনে যারা জয়লাভ করবে তারাই ১৬ মে’র পর থেকে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হয়ে ওঠা দেশটির সরকার পরিচালনা করবে।
সরকার গঠনে নির্বাচনে জয়লাভ করার লক্ষ্যে নিরলস প্রচারণা চালাচ্ছে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস ও রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টিসহ (বিজেপি) রাজনৈতিক দলগুলো।
প্রচারণার অংশ হিসেবে সর্বত্র পোস্টার-ব্যানার সাজানোর পাশাপাশি রাতে-দিনে চলছে সভা-সমাবেশ-লিফলেট বিতরণ-গণসংযোগ।
এতো বিস্তৃত পরিসরের প্রচারণায় কাদের কেমন খরচ যাচ্ছে? কাদের পক্ষ থেকে এতো বিশাল অংকের অর্থ আসছে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য?
শনিবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির অর্থ-যোগানের উৎস। তবে, দু’টি দলের জন্য শীর্ষ ১০ অর্থ-যোগানদাতা প্রতিষ্ঠানের নাম ও অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলো মাত্র ৯ শতাংশ অর্থ নেয় জ্ঞাত উৎস থেকে।
গ্রাফিক্স চিত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয় আদিত্য বিরলা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সোনিয়া-রাহুলরা পান প্রায় ৩৬ কোটি ৪০ লাখ রুপি। আর এই গ্রুপটির প্রায় ২৬ কোটি ৬০ লাখ রুপি যায় রাজনাথ-মোদীদের কার্যালয়ে।
ক্ষমতাসীনরা টরেন্ট পাওয়ার থেকে পায় প্রায় ১১ কোটি ৯০ লাখ রুপি। আর ভারতী এন্টারপ্রাইজ থেকে প্রায় ১১ কোটি, টাটা গ্রুপ থেকে প্রায় ১০ কোটি, বেদান্ত থেকে প্রায় ছয় কোটি, আইডিঅ্যান্ডসি থেকে (এল) প্রায় পাঁচ কোটি ৫০ লাখ, আইটিসি থেকে প্রায় পাঁচ কোটি, ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রায় চার কোটি ৩০ লাখ, লারসেন অ্যান্ড তুব্রো প্রায় তিন কোটি ৩০ লাখ এবং রোহান প্রোমোটার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স থেকে পায় প্রায় তিন কোটি রুপি।
অপর দিকে, রাজনাথ-মোদীর বিজেপিকে আদিত্য বিরলা গ্রুপ দেয় প্রায় ২৬ কোটি ৬০ লাখ রুপি। টরেন্ট পাওয়ার বিজেপিকে দেয় প্রায় ১৩ কোটি। দলটি অ্যাশিয়ানেট ভি হোল্ডিং থেকে নেয় প্রায় ১০ কোটি, বেদান্ত থেকে প্রায় নয় কোটি, টাটা গ্রুপ থেকে প্রায় ছয় কোটি ৯০ লাখ, ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রায় ছয় কোটি ৩০ লাখ, ভারতী এন্টারপ্রাইজ থেকে প্রায় ছয় কোটি ১০ লাখ, শ্রী পোপাতভাই আকাভাই ভেকারিয্য থেকে প্রায় পাঁচ কোটি, সালনাথ এন্টারপ্রাইজ থেকে প্রায় পাঁচ কোটি এবং পুনজ লিওদ থেকে নেয় প্রায় চার কোটি ৬০ লাখ রুপি।
ইতোমধ্যে সাত দফায় ৪৩৮টি আসনেরই নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে দুই দফায় ১০৫টি আসনের নির্বাচন। ১২’মের সর্বশেষ দফা নির্বাচনের পর ১৬ মে ঘোষণা করা হবে একযোগে ফলাফল। কারা জিতছে এই নির্বাচনে? অর্থদাতাদের সঙ্গে সঙ্গে সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বিশ্ববাসীও।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৪