ঢাকা: আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিরোধপূর্ণ রাজ্য আসাম-নাগাল্যান্ডের সীমান্ত। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত রাজ্য দু’টির সীমান্ত নিয়ে বিরোধের জেরে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত ও ২১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশের দাবি, কয়েক হাজার আদিবাসী বিক্ষোভকারী তীর, ধনুক ও বর্শা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছুঁড়েছে। এ কারণেই দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে। এছাড়া, পুলিশের গুলিতে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি ট্রাকের চাপায় মারা গেছে আরও একজন।
প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত পুলিশের জিপ ও বেশ কিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে আসাম থেকে নাগাল্যান্ডমুখী জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে আসামিজ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, আসাম-নাগাল্যান্ড সীমান্তে কী ঘটছে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যদিও চলমান প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে কোনো সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গাগৈ।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, গত সপ্তাহে নাগাল্যান্ডের জঙ্গিদের হাতে ১৫ আসামিজ নিহত হওয়ার জের ধরে এ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সহিংসতার জেরে আসামের প্রায় ১০ হাজার সাধারণ লোক সরকারি নিরাপত্তা কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আসাম-নাগাল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে দু’রাজ্যের মধ্যে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার আসাম সফর করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু।
সফরে আসামের মুখ্যমন্ত্রী গাগৈ ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টিআর ঝেইলাংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংঘর্ষকে আসাম ও নাগাল্যান্ডের মধ্যকার বিরোধ বিবেচনা করছে এবং এর সমাধান দেখছে দু’রাজ্যের আলোচনায়ই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৪