ঢাকা: এবার সত্যি সত্যিই টেকোদের (এলোপেসিয়া এরিয়াটা রোগী) মাথায় চুল গজাবে। আর এ উপায় বের করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের একদল গবেষক।
বিশ্ব জনগোষ্ঠীর কিছু অংশ এলোপেসিয়া এরিয়াটা রোগে ভোগেন। এ রোগের কারণে মাথার চুলসহ দেহের সব লোম পড়ে যায়। অনেকসময় এ রোগ ভালো হলেও অর্থাৎ চুল পড়া বন্ধ হলেও নতুন করে চুল আর গজায় না।
এ ধরনের রোগীদের জন্যই গবেষক দলটি নতুন এক ওষুধ আবিষ্কার করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রেরই একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, আবিষ্কৃত ওষুধ দিয়ে প্রাথমিকভাবে একটি ইঁদুরের উপর সফলভাবে পরীক্ষা চালান গবেষকরা। এরপর সাতজন নারী ও পাঁচজন পুরুষের উপর এ পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলও পাওয়া যায়।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এলোপেসিয়া এরিয়াটা রোগী ৩৪ বছর বয়সী বায়ার্ন জানান, এ পরীক্ষার পর খুব দ্রুত ফল পাওয়া গেছে। পাঁচ মাসের মধ্যে আমার মাথা চুলে ভরে গেছে। অবিশ্বাস্যভাবে মাথায় কালো ও ঘন চুল গজেয়েছে।
তবে গবেষণা প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়, রোগটির প্রকারভেদ থাকায় এ ওষুধ সবার ক্ষেত্রে সমান কার্যকর হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা, কিংবা কতটুকু নিরাপদ এ ব্যাপারটি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং গবেষণা দলের সদস্য ডা. জুরিয়ান ম্যাকে বলেন, অনেক টেকো মাথায় চুল গজালেও অনেক মাথায়ই আমাদের নতুন ওষুধ ব্যর্থ হয়েছে। তবু আমাদের গবেষণা চলছে। আমরা সব মাথায় সফলতা পাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করছি।
জন হপকিন্স হাসপাতালের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. লুইস গার্জা জানান, সব রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষ করে যাদের পুরো মাথাই টাক হয়ে গেছে।
তবে, দ্রুত সাফল্যের দেখা পাওয়ায় গবেষক দল আবিষ্কৃত এ পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৪