ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিরিয়া যুদ্ধে ৩০ লাখ শরণার্থীর দেশত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৪
সিরিয়া যুদ্ধে ৩০ লাখ শরণার্থীর দেশত্যাগ সংগৃহীত

ঢাকা: সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ শরণার্থী হয়ে দেশ ছেড়েছেন। শুধু তাই-ই নয়, সেখানে চরমভাবে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে।

সেখানে জরুরি মানবিক সহায়তা দরকার বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউএনএইচসিআর জানায়, সিরিয়া যুদ্ধে সে দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ লাখ নাগরিক পাশের দেশ লেবাননে আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

সংস্থাটি জানায়, তিন বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় এক লাখ ৯০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পদত্যাগের দাবিতে ২০১১ সাল থেকে লড়াই করে আসছে বিরোধীরা।

তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিরিয়ার অবস্থা আরো নাজুক হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। বিশেষ করে সিরিয়ার সোয়াতের বড় একটি অংশ ও ইরাকের কিছু অংশ দখলে রেখেছে দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) জঙ্গিরা।

আইএসের কারণে সেখানে মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে বলে জানায় ইউএনএইচসিআর।

সংস্থাটি জানায়, প্রতি আটজনের একজন সিরিয়ান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এ ছাড়া দেশের ভেতরেই ৬৫ লাখ সিরিয়ান বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর অর্ধেকই শিশু।

অনেক পরিবারই বছর ধরে এ গ্রাম থেকে আরেক গ্রাম, সেখান থেকে অন্য গ্রাম পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, ইদানীং এটিও বিপদ শঙ্কুল হয়ে উঠেছে। কারণ, এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার সময় চাঁদাবাজির কবলে পড়েন। অনেকে আবার অস্ত্রধারীদের কাছে গণধর্ষণের শিকার হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনবছরের গৃহযুদ্ধে ১১ লাখ ৫৫ হাজার পাঁচজন সিরিয়ান শরণার্থী হিসেবে লেবাননে আশ্রয় নিয়েছেন। তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন, আট লাখ ৩২ হাজার পাঁচশ আটজন,  জর্দানে আশ্রয় নিয়েছেন ছয় লাখ ১৩ হাজার দুইশ ৫২ জন, ইরাকে আশ্রয় নিয়েছেন দুই লাখ ১৫ হাজার তিনশ ৬৯ জন, মিশরে আশ্রয় নিয়েছেন একলাখ ৩৯ হাজার ৯০ জন, উত্তর আমেরিকায় ২৩ হাজার তিনশ ৬৭ জন এবং সিরিয়ার ভেতরে উদ্বাস্তু হয়েছেন ৬৫ লাখ মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।