ঢাকা: পাকিস্তানে চলমান সংকট উত্তোরণে ও দেশটির গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে দেশটির সরকারকে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশী।
তিনি বলেন, সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে আমাদের দল প্রস্তুত আছে।
পাকিস্তান জামায়াত-ই-ইসলামীর (জেআই) প্রধান সিরাজ-উল-হক যোগ করে বলেন, পাকিস্তানের সংকট উত্তোরণে একটি যুক্তি সংগত অবস্থানে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের এ দল আলোচনা চালিয়ে যাবে।
এ সময় রেহমান মালিক আন্দোলন করার জন্য ইমরান খানকে ধন্যবাদ জানান এবং পিটিআই কর্মীদের ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহারের অভিযোগ করেন।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আক্রমণ ও অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে সমগ্র সংসদ ঐক্যবদ্ধ আছে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান।
তিনি বলেন, দেশ এখন কঠিন সময়ে অতিবাহিত হচ্ছে। এ সংসদ ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই মাত্র কয়েক হাজার মানুষের জন্য দেশে কোনো ধরণের আক্রমণ ও অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে সংসসদের সবাই ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, কারও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে দেশ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে।
নিসার বলেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান মাত্র ৮ দিন আগে আমাদের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ এমন কি হলো যে এখনই তাকে ইউ টার্ন নিতে হবে। এটা কোনো বিক্ষোভ কিংবা অনশন নয়, এটা পাকিস্তান ও রাষ্ট্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান।
তারা বিপ্লবী নয়, তারা অবৈধ প্রবেশকারী এবং সন্ত্রাস মাত্র উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভকারীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী। যাদের হাতে কুড়াল, কাঠের লাঠি, কাঁচি, হাতুড়ি, কাটার যন্ত্র এবং গুলতি শোভা পাচ্ছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তান সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সমন্বয়ে এ যৌথ অধিবেশন শুরু হয়।
সংসদের স্পিকার এনএ আয়াজ সাদিক এবং সিনেট চেয়ারম্যান নায়ার বুখারির সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পরামর্শে দেশটির রাষ্ট্রপতি মামনুন হোসেন সংসদের এ জরুরী যৌথ অধিবেশন শুরুর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৪