ন্যাটো সামিট ভেন্যু, নিউপোর্ট, ওয়েলস থেকে: সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশনে যেতে পারে জোট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সামরিক সদস্যদের সমন্বয়ে এমন একটি বিশেষ বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা করছে ন্যাটো।
নিউপোর্টে ন্যাটোর ২৬তম শীর্ষ সামিট শুরুর প্রাক্কালে দেওয়া তার স্বাগত বক্তৃতায় ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্ডার্স ফগ রাজমুজেন এই পরিকল্পনা নিয়ে এবারের সামিটে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তায় তড়িৎ অ্যাকশনের চিন্তা থেকেই বিষয়টি আলোচনার এজেন্ডায় এসেছে এবারের সামিটে।
সেক্রেটারি জেনারেল জানান, সামিটে প্রতিরক্ষা খাতে ন্যাটোর বাজেট বাড়ানোর বিষয়টিও আলোচনার এজেন্ডায় রয়েছে। ইউক্রেন ও অন্যান্য পার্টনার দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে জোট সম্পর্কের নতুন অধ্যায় নিয়েও আলোচনা হবে সামিটে।
তিনি ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ সংকটে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ পুরো ইউরোপকে অস্থিতিশীল করে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব উদ্যোগকে ন্যাটো স্বাগত জানাবে বলেও মন্তব্য করেন রাজমুজেন।
ইস্টে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও সাউথ-ইস্টে ইসলামিক জিহাদি সংগঠন আইএস-এর উত্থানের কারণে আমরা বিশ্ব নিরাপত্তা পরিবেশের নাটকীয় অবনতির সময়কাল মোকাবেলা করছি- মন্তব্য করেন রাজমুজেন।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে।
তিনি আরো বলেন, এবার সামিট আমাদের জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঐতিহাসিক সামিট। ক্রান্তিকালের ক্রান্তিকালীন সামিট এটি। এই সামিটের অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য হলো- নতুন ইসলামিক জিহাদি সংগঠন আইএস মোকাবেলার পন্থা খুঁজে বের করা।
ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ইরাক সরকার যদি চায়, তবে আইএস মোকাবেলায় ন্যাটো সহযোগিতার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্গ ভেলাসভিলির সঙ্গে বৈঠক করছেন ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল রাজমুজেন।
** ওয়েলসে ন্যাটোবিরোধী প্রতিবাদে বাঙালিরাও
** ন্যাটো সামিটে নিরাপত্তার চাদরে নিউপোর্ট
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৪