ঢাকা: জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে রুখতে আরব লীগের সমর্থন লাভের জন্য কায়রো পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। মিশর সফরে জন কেরি আরব লীগ প্রধান নাবিল আরাবির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএস বিরোধী জোটে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি আরব ও কাতার সহ দশটি আরব রাষ্ট্র। তবে এই জোটে ইরানের অংশগ্রহণের বিষয়টি নাকচ করেছেন জন কেরি।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে নিয়ে তাদের কথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠা করেছে ইসলামিক স্টেট। তবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সহ যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে নৃশংস আচরণ ও তাদের বর্বরতার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে আইএসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাপ বাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
আইএসের হামলায় বিপর্যস্ত ইরাকি ও কুর্দি কর্তৃপক্ষের আহ্বানে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে আইএসের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে দুই মার্কিন সাংবাদিকের শিরশ্ছেদ করে আইএস।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার আইএসের বিরুদ্ধে সমন্বিত উদ্যোগের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আইএস বিরোধী এই কোয়ালিশনে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিশর, ইরাক, জর্দান, লেবানন, বাহরাইন, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তবে তুরস্ক ওই জোটে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আইএস জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা মসুলের কনস্যুলার সহ অর্ধশতাধিক তুর্কি নাগরিকের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগই তুরস্কের এ সিদ্ধান্তের কারণ।
এদিকে আইএস বিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে ফ্রান্স। শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদ সফরের সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ এ ব্যাপারে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
ইতোমধ্যেই ইরাকের উত্তরাঞ্চলে আইএসের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে ১৫০ বারেরও বেশি বার হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো।
আইএস এর অধীনে বর্তমানে ইরাক ও সিরিয়ায় ৩০ হাজার যোদ্ধা লড়াই করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিঅাইএ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৪