ঢাকা: বৃহত্তর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একীভূত থাকবে, নাকি বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করবে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেবে স্কটল্যান্ডের জনগণ।
‘স্কটল্যান্ডের কি স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়া উচিত?’ শীর্ষক গণভোটে অংশ নিয়ে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেবে ব্রিটিশ অঞ্চলটির জনতা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একযোগে ২,৬০৮টি কেন্দ্রে গণভোট শুরু হবে। গণভোটে অংশ নেবে ৪২ লাখ ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ভোটগ্রহণের পর স্কটল্যান্ডের ৩২টি স্থানীয় প্রশাসনিক এলাকায় গণনা শেষে শুক্রবার সকাল নাগাদ ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, একযোগে ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে তা এডিনবার্গে প্রধান গণনা কর্মকর্তা (সিসিও) ম্যারি পিটকাইথলির কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেবেন আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।
এরপর ম্যারির অনুমোদনক্রমে ওই কর্মকর্তারা নিজেদের অঞ্চলের ফলাফল ঘোষণা করবেন।
৩২টি আঞ্চলিক প্রশাসনিক এলাকা থেকে ফলাফল ঘোষণার পর সিসিও ম্যারি এডিনবার্গের রয়্যাল হাইল্যান্ড সেন্টার থেকে গণভোটের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন।
ম্যারি জানান, তিনি শুক্রবার নাস্তাগ্রহণের (ব্রেকফাস্ট টাইম) সময় ফলাফল ঘোষণা করবেন।
তার ঘোষণা অনুযায়ী ফলাফল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে পাওয়া যাবে আশা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ ও স্কটিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, গণভোটকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তেও প্রচারাভিযানে ব্যস্ত সময় কাটায় দুই পক্ষ।
যুক্তরাজ্যের প্রধান তিন দলের নেতারা স্কটল্যান্ডবাসীকে ‘না’ ভোট দিতে অনুরোধ করেন। ‘না’ ভোট দিলে তারা স্কটিশদের আরও ‘ক্ষমতা’ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
অপরদিকে স্কটল্যান্ডের প্রথম প্রধানমন্ত্রী আলেক্স স্যালমন্ড ভোটারদের ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
বুধবার প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছে। জরিপ বলছে, খুব অল্পভোটের ব্যবধানে ‘না’ ভোট এগিয়ে থাকবে।
এর আগে, মঙ্গলবার প্রকাশিত তিনটি ব্রিটিশ পত্রিকা টেলিগ্রাফ, স্কটসমান ও ডেইলি মেইলের পৃথক পৃথক জরিপের দাবি ‘না’ ভোটের পক্ষে শতকরা ৫২ ভাগ ও ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে ৪৮ ভাগ সিল পড়বে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবারের গণভোট যদি স্বাধীনতার পক্ষে যায়, তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রায় ৩শ’ বছরের সম্পর্কের ছেদ হবে স্কটল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে ফের ভাঙতে শুরু করবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৪