ঢাকা: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই নির্ধারণ হবে ‘স্বাধীন স্কটল্যান্ড’ এর ভাগ্য।
স্কটিশরা কি গ্রেট বৃটেনের সঙ্গে ৩০৭ বছরের বন্ধন অটুট রাখবে? নাকি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয়ে পরিচিত হবে বিশ্বসভায়?
১৮ সেপ্টেম্বরের গণভোটেই মীমাংসা হবে এই প্রশ্নের। এদিন ব্রিটিশ ইউনিয়নে থেকে যাওয়া অথবা ইউনিয়ন থেকে যাওয়ার প্রশ্নে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন স্কটল্যান্ডবাসী।
প্রচারণা শুরুর প্রথম দিকে অবশ্য খুব একটা হালে পানি পাননি স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকজন। বরং পাল্লা ঝুকে ছিলো ইউনিয়নের দিকেই। কিন্তু গত কয়েক মাসে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। জনমত নাটকীয়ভাবে ঝুঁকে পড়ে স্বাধীনতার পক্ষে।
স্কটিশরা ব্রিটিশ ইউনিয়নের অংশ নেই, কয়েক বছর আগেও এটি ছিলো ব্রিটিশদের কাছে অচিন্তনীয় একটা ব্যাপার। কিন্তু স্কটল্যান্ডের এই গণভোট এখন তাদের জন্য পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে।
স্কটল্যান্ডের গণভোট কী এবং কেন ?
১৮ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ভোটারদের সামনে থাকবে একটি সাধারণ প্রশ্ন, ‘স্কটল্যান্ডের কি একটি স্বাধীন দেশ হওয়া উচিত?’ ভোটাররা বেছে নেবেন ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট।
স্বাধীনতার পক্ষে স্কটিশদের নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ‘ইয়েস’ ক্যাম্পেইনের প্রধান প্রবক্তা স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি।
এই ভোটকে স্বাধীনতা লাভের সুবর্ণ সুযোগ উল্লেখ করে তাদের দাবি, নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই বেছে নেয়ার এই অভূতপূর্ব সুযোগ হাতছাড়া করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না স্কটিশদের জন্য। একটি ‘হ্যাঁ’ ভোট মানে স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যত নির্ধারণের ক্ষমতা স্কটিশদের হাতেই থাকা।
একই সঙ্গে স্বাধীন স্কটল্যান্ডের বাসিন্দাদের জীবনমান আরও উন্নত হওয়ার স্বপ্নও দেখিয়েছে তারা।
অপরদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন চান গ্রেট ব্রিটেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই থাকুক স্কটল্যান্ড। এজন্য স্কটল্যান্ডকে আরও বেশি সুযোগ সুবিধা দেয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যেই একমত হয়েছেন ওয়েস্টমিনিস্টারের প্রধান তিনটি দলের নেতারা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্কটিশদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই সিদ্ধান্ত যদিও স্কটল্যান্ডের জনগণের, কিন্তু যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকা মানে আরও নিরাপত্তা ও শক্তি।
একবার ‘হ্যাঁ’ ভোট জিতে গেলে ফেরার আর কোনো পথ থাকবে না বলেও এ সময় হুঁশিয়ারি দেন ডেভিড ক্যামেরন।
এই ভোট কেন এত তাৎপর্যপূর্ণ?
এখনই এই গণভোটের প্রভাব পড়তে দেখা গেছে ব্রিটেনের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যে। অনেকের আশঙ্কা স্কটল্যান্ডের ব্রিটিশ ইউনিয়ন ত্যাগ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে লন্ডনের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করবে।
এমনকি সোমবার যখন প্রথমবারের মত জনমত জরিপে স্বাধীনতার স্বপক্ষের অভিমত কিছুটা এগিয়ে যায়, তখন পড়তে থাকে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর।
এছাড়া ভোটের ফলাফল পক্ষে না গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাও।
ইতোমধ্যেই স্কটল্যান্ডের সরকার জানিয়েছে তারা স্কটল্যান্ড থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে ফেলতে চান।
বর্তমানে স্কটল্যান্ডের ফাসলেন নৌঘাঁটিতে রয়েছে যুক্তরাজ্যের পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ট্রাইডেন্ট মিসাইলবাহী অত্যাধুনিক নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের বহর।
ইতোমধ্যেই স্কটিশ সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, স্বাধীন স্কটল্যান্ড কোনো ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রের ঘাঁটি হবে না। এতে বিপাকে পড়েছে ব্রিটিশ নৌবাহিনী। কারণ ওই পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো নেয়ার মত উপযুক্ত নৌঘাঁটি এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে নেই।
ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিক্রিয়া
স্বাধীন হলে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়ার পক্ষে স্কটল্যান্ড নিজেদের আগ্রহের কথা জানালেও এ ব্যাপারে শীতল মনোভাবই দেখাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতই যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সদস্যপদ লাভ করতে হবে বলে স্কটল্যান্ডকে জানিয়েছে ইইউ।
এদিকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা লাভ চাঙ্গা করতে পারে আরও কয়েকটি ইউরাপীয় অঞ্চলের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে।
স্কটল্যাণ্ডের এই গণভোটের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে স্পেন, কানাডা ও ফ্রান্স।
দীর্ঘদিন ধরেই স্পেন থেকে ক্যাটালোনিয়া, কানাডা থেকে কুইবেক এবং মূল ভূখণ্ডের অধীনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ কর্সিকা।
গদি হারাতে পারেন ক্যামেরন
এদিকে স্কটল্যান্ড সত্যিই ব্রিটিশ ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে গদিতে টিকে থাকা নিয়ে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকে। যদিও পদত্যাগের সম্ভাবনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। তবে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হলে তিনি যে চাপে পড়বেন তা বলাই বাহুল্য।
কারা ভোট দিতে পারবে?
স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সের উপরের যে কেউই এই ভোটে ভোট দিতে পারবেন। গত বছরই ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের ভোটার করে আইন পাস হয় স্কটল্যান্ডে।
এছাড়া স্কটল্যান্ডে বসবাসকারী ইংলিশ বা ওয়েলশের নাগরিকরাও ভোট দিতে পারবেন এই গণভোটে।
তবে স্কটল্যান্ডের যে সব বাসিন্দা যুক্তরাজ্যের অন্যান্য স্থানে কিংবা অন্যান্য দেশে বসবাস করে তারা ভোট দিতে পারবেন না এই গণভোটে।
গণভোটের পেছনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
ব্রিটিশ ইউনিয়নে ইংল্যান্ডের পরপরই সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ শরীক স্কটল্যান্ড। ইংলিশদের সঙ্গে তাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের তিক্ত-মধুর সম্পর্কের ইতিহাস।
১৭০৭ সালের অ্যাক্ট অব ইউনিয়ন চুক্তির আওতায় ইংল্যান্ড ও ওয়েলেসের সঙ্গে ব্রিটিশ ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় স্কটল্যান্ড।
১৯৯৯ সালে যুক্তরাজ্যের বর্তমান কাঠামোর মধ্যেই গঠিত হয় স্কটল্যান্ডের নিজস্ব সরকার।
স্বাধীন স্কটল্যান্ড বহুদিন ধরেই অনেক স্কটিশের স্বপ্নে থাকলেও ধারণাটি জোরদার হয় ২০১১ সালের মে মাসে স্কটল্যান্ডের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত জাতীয়তাবাদী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির অভূতপূর্ব বিজয়ে।
সরকার গঠনের প্রথম থেকেই স্বাধীন স্কটল্যান্ড পক্ষে প্রচারণা চালাতে থাকেন রাজনৈতিক দলটির প্রধান অ্যালেক্স স্যালমন্ড।
এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের অক্টোবরে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের ব্যাপারে একমত হয় যুক্তরাজ্য এবং স্কটিশ সরকার।
স্কটিশরা কেন ব্রিটিশদের প্রতি বিমুখ ?
গ্রেট ব্রিটেনের প্রতি স্কটিশদের বর্তমান বিরুপ মনোভাবের জন্য ব্রিটেনের কনজারভেটিভ সরকারকেই অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগোর স্কটিশ ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ডভিট ব্রাউন মনে করেন, যুক্তরাজ্যের বর্তমান রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন সরকারের নীতিতে স্কটল্যান্ডের সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়নি।
অনেক স্কটিশই ওয়েস্ট মিনিস্টারের বর্তমান সরকারের সংস্কার কার্যক্রমগুলোর সঙ্গে একমত হতে নন।
ক্যামেরন সরকারের কঠোর কৃচ্ছতা সাধন নীতিকে তারা তাদের স্বপ্নের কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অন্তরায় বলে সমালোচনা করে আসছিলেন।
এছাড়া ঐতিহ্যগতভাবেই স্কটল্যান্ডবাসীরা রক্ষণশীল দলকে ভোট দেয় না। বর্তমানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্কটল্যান্ডের কোনো আসন থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের সংসদ সদস্য রয়েছেন মাত্র একজন।
অনেক স্কটিশই রসিকতা করে বলে থাকেন, কনজারভেটিভরা স্কটল্যান্ডে জায়ান্ট পান্ডার থেকেও দুর্লভ। কারণ পুরো স্কটল্যান্ডে রক্ষণশীলদের এমপি মাত্র একজন থাকলেও, এডিনবার্গ চিড়িয়াখানায় রয়েছে দু’টি পান্ডা।
ব্রাউন অবশ্য এ জন্য দোষারোপ করেন মার্গারেট থ্যাচারের সরকারের নেয়া বিভিন্ন নীতির।
তিনি বলেন, থ্যাচারের সময় থেকেই বিভক্তি বাড়তে থাকে। স্কটিশদের মধ্যে এই ধারণা পোক্ত হতে থাকে যে তারা ইংলিশদের থেকে আলাদা।
তাছাড়া একদার প্রতাপশালী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনও স্কটিশদের স্বাধীনতার সুপ্ত আকাঙ্খাকে জাগ্রত করেছে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সোনালী সময়ে শক্তিশালী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে থাকাটাকেই শ্রেয়তর বলে মনে করে আসছিলো স্কটিশরা।
কিন্তু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনের পর এখন এই পোশাকি ইউনিয়নের কোনো কার্যকারিতা দেখছেন না তারা।
ভোট লড়াইয়ের আসল খেলোয়াড়
স্বাধীনতার পক্ষের মূল প্রচারক স্কটল্যান্ডের বর্তমান সরকারের ফার্স্টমিনিস্টার অ্যালেক্স স্যালমন্ড। স্কটল্যান্ডের বর্তমান জাতীয়তাবাদী সরকারেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
অপরদিকে ইউনিয়নের স্বপক্ষের প্রচারণার মূল ব্যক্তিত্ব এডিনবার্গ থেকে নির্বাচিত লেবার দলীয় সংসদ সদস্য অ্যালিস্টার ডারলিং।
সম্প্রতি দু’টি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেন এই দুই প্রতিপক্ষ।
প্রথম দফায় অ্যালিস্টার ডার্লিং স্বল্প ব্যবধানে অ্যালেক্স স্যালমন্ডকে পিছনে ফেললেও সদ্য হয়ে যাওয়া টেলিভিশন বিতর্কে তাকে সুস্পষ্টভাবে পরাভূত করেন অ্যালেক্স স্যালমন্ড।
পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও স্বাধীনতার বিপক্ষে ‘নো’ ক্যাম্পেইনের বড় প্রচারক।
রাজনীতির পাশাপাশি বিনোদন জগতের লোকজনও জড়িয়ে পড়েছেন এই গণভোটের পক্ষে বিপক্ষে।
‘স্কটল্যান্ড আমাদের সাথে থাকো’ বলে স্কটিশদের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন সুপার মডেল কেট মস।
এছাড়া ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসেন এই ভাঙ্গনের বিপক্ষে। তিনি ইউনিয়নের পক্ষে ‘বেটার টুগেদার’ প্রচারণাকেই সমর্থন করছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমার মতই আট লাখ স্কটিশ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছেন। আমাদের কখনই মনে হয়নি আমরা বিদেশি রাষ্ট্রে অবস্থান করছি।
স্কটল্যান্ড নিবাসী হ্যারি পটারের লেখিকা জে কে রাউলিংও বিপুল অনুদান প্রদান করেছেন বেটার টুগেদার প্রচারণায়।
পাশাপাশি ব্রিটেনের সঙ্গে থাকতে স্কটিশ ভোটারদের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখেছেন বিটলস তারকা পল ম্যাককার্টনিও।
তবে স্বাধীনতার স্বপক্ষেও সরব সেলিব্রিটিরা। তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক জেমস বন্ড তারকা শন কনারি।
এমনকি গণভোটের এই উত্তেজনা থেকে দূরে নন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাও।
তিনি বলেন, যদিও এটি স্কটল্যান্ডের মানুষের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে আমাদের অন্যতম বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ মিত্রের শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ থাকাটাও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীনতা প্রশ্নে স্কটিশ জনগণের মনোভাব
ভোটের কয়েকমাস আগেও স্বাধীনতার বিপক্ষে জনমত শক্তিশালী ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে হাওয়া এখন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির অনুকূলে।
৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সানডে টাইমসের জরিপে দেখা গেছে প্রথমবারের মত অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছে ‘হ্যাঁ’ ভোট।
স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্কটসেনের নতুন জনমত জরিপে দেখা গেছে ‘না’ ভোট অল্প ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান কমে আসছে দ্রুতই।
এ পরিস্থিতিতে ১৮ সেপ্টেম্বরের ভোটে ফলাফল নিজেদের পক্ষে আসবে, এমন আশায় বুক বেধেছেন স্বাধীনতার পক্ষের লোকজন।
অপরদিকে ব্রিটিশ ইউনিয়নের সমর্থকরা বলছেন, ‘নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদেরই। নীরব ভোটাররা শেষ পর্যন্ত ইউনিয়নের পক্ষেই মতামত দেবেন।
বৃহস্পতিবারের গণভোটে তাই জোর ও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার প্রতীক্ষায় বিশ্ববাসী। শুক্রবার ফলাফল ঘোষণার পরই হবে সেই প্রতীক্ষার অবসান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৪