ঢাকা: মেয়ে শিশুকে পুড়িয়ে ও খুঁচিয়ে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করায় কুয়েতে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো এক মাকে। সাবেক স্বামী ও নির্যাতিতা শিশুর বাবার দায়ের করা মামলার আসামি হয়ে বিচারিক প্রক্রিয়ায় জেরার মুখে পড়েছেন ওই নারী।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় এবং আগামী ২২ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণা নির্ধারিত হওয়ায় ওই দিন পর্যন্ত কুয়েত ত্যাগে অভিযুক্ত নারীর প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জানা যায়, পেশায় স্কুল শিক্ষক ওই মা মেয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর কোনো ধরনের চিকিৎসা বা সহায়তা দিতেও ইচ্ছাবোধ করেননি।
কর্মকর্তারা জানান, ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর আলাদা জীবন যাপন করছিলেন অভিযুক্ত নারী ও বাদী পুরুষ। কিন্তু মেয়ে শিশুর বিশেষ দেখভাল ও যত্নের কথা চিন্তা করে তাকে সাবেক স্ত্রীর কাছেই রেখে দিতে রাজি হন স্বামী।
কিন্তু সম্প্রতি দীর্ঘ ২২ দিন ধরে মেয়েকে স্কুলে অনুপস্থিত দেখেন বাবা। তারপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মেয়েকে তার মা নির্মম নির্যাতন করেছেন এবং এ কারণে তার গায়ে পোড়া দাগ ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
পরে মামলা দায়ের করলে নিরাপত্তা বাহিনী মেয়েকে উদ্ধার করে এবং তদন্তের ভিত্তিতে মাকে আটক করে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাকে শারীরিকভাবে আঘাত ও নির্যাতন করা হয়েছে এবং সে কারণে শরীরে পোড়া দাগ ও ক্ষত দৃশ্যমান।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম আল রাই বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়েকে নির্যাতন করে পরে তাকে কোনো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পাবলিক প্রসিকিউশন।
পাবলিক প্রসিকিউশনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ওই মেয়েকে তার মায়ের বাড়ি থেকে সরিয়ে অস্থায়ীভাবে একটি কেয়ার হোমে থাকতে দেয়।
এরপর নির্যাতিত মেয়েসহ মাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলে আদালত মায়ের অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন এবং ২২ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। পাশাপাশি মেয়েকে বাবার কাছে নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৪