পাটনা: হিন্দু দর্শনের আশ্রম নীতির আলোকে নারী-পুরুষের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স বৃদ্ধি করে ২৫ বছর নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি।
ভারতীয় নারীদের ব্যাপকহারে অপুষ্টিতে ভোগার বিষয়টি নির্দেশ করে তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্যই তিনি এ মত পোষণ করেন বলে জানিয়েছেন জিতেন মাঝি।
পাটনায় ‘জনতার দরবার’ অনুষ্ঠানের ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি আশ্রম নীতির পুরোনো প্রথা মেনে ছেলে-মেয়েদের বিয়ের উভয়ের বয়স সীমা ২৫ বছর করা উচিৎ।
একজন ব্যক্তির গড় উচ্চতা ৭ ফুট থেকে ৫ ফুট এ নেমে আসার জন্য তিনি এ বাল্যবিবাহকেই দায়ী করেন। ভারতে বর্তমানে বিয়ের আইনানুগ বয়স ছেলেদের জন্য ২১ এবং মেয়েদের জন্য ১৮ বছর।
আশ্রম প্রথা অনুযায়ী বিয়ের বয়সকে ৪টি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে- প্রথম পর্যায়ে ২৪ বছর পর্যন্ত ব্রহ্মাচার্য। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৪ থেকে ৪৮ বছর পর্যন্ত গৃহস্থ। তারপর ৪৮ থেকে ৭২ বছর পর্যন্ত বানপ্রস্থ এবং ৭২ বছর বয়স থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সন্ন্যাস ।
৭০ বছর বয়সী এই মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ২৫ বছর বয়সের পর বিয়ে করেছেন এবং তার এই সুস্বাস্থ্যের জন্য এই বিষয়টিকেই দায়ী করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৪