মস্কো: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত রুশ গুপ্তচরদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি প্রকাশ করেছেন রাশিয়ান প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। এসময় তিনি গুপ্তচর দলটির সঙ্গে দেশাত্মবোধক গানও গেয়েছেন বলে জানান পুতিন।
পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা জীবন নিয়ে কথা বলেছি এবং গানও গেয়েছি। এটা কারাওকে না, সত্যিকারের গান ছিলো। ” উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ দিকে প্রাক্তন পূর্ব-জার্মানিতে কেজেবির গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করেছিলেন পুতিন।
তিনি বলেন, “আমরা ‘ফ্রম হোয়ের দ্যা মাদারল্যান্ড বিগিনস’ গানটি গেয়েছি। ” এটি ১৯৬০ দশকের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান। “আমি মজা করছিনা। সত্যি কথা বলছি। এধরনের আরও কিছু গান গেয়েছি আমরা” বলে যোগ করেন পুতিন। এছাড়া এ গুপ্তচর দলের সদস্য আনা চ্যাপমানের মোহনী রুপের কারণে তিনি সারা বিশ্বে ট্যাবলয়েড তারকা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন পুতিন।
রোববার ইউক্রেন সফরকালে তাঁর সঙ্গের সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন বলে সরকারি ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছদ্মবেশী এজেন্ট হিসেবে বহু বছর ধরে কাজ করা ১০ সদস্যের একটি গুপ্তচর দলকে সেখান থেকে বহিষ্কার করার পর চলতি মাসের প্রথম দিকে তাঁরা রাশিয়া ফিরে আসেন। রাশিয়ায় আটক থাকা চার মার্কিন গুপ্তচরকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর পর এদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুতিন আভাস দিয়ে বলেন, মূলত রাজনৈতিক প্রতারণাই রুশ গুপ্তচরদের ধরা পরার প্রধান কারণ। এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের পরিচয়ও তিনি জানেন বলে আভাস দিয়ে পুতিন বলেন, “এটা ছিল রাজনৈতিক প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার ফলাফল। এধরনের কাজের পরিণতি সবসময়ই খারাপ হয়। রাস্তার মাতাল, নেশাখোড় হিসাবে এসব বিশ্বাসঘাতকদের জীবন শেষ হয়। ”
তবে বহিষ্কৃত গুপ্তচররা বেকার থাকবেননা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, “আমি নিশ্চিত যে তাঁরা উপযুক্ত জায়গাতেই কাজ করবেন। তাঁদের চমৎকার, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। ”
ধরা পরা গুপ্তচরদের ভূমিকা সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও রাশিয়ার গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার বিষয়টির প্রশংসা করেন পুতিন।
তিনি বলেন, “এদের সবাইকেই কঠিন জীবন-যাপন করতে হয়। কূটনীতিক চাল উপেক্ষা করে, নিজের ও নিজের প্রিয়জনদের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে হলেও মাতৃভূমির স্বার্থে বছরের পর বছর ধরে নির্ধারিত দায়িত্ব আপনাকে সম্পন্ন করে যেতে হবে। ”
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১০