ঢাকা: নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাটে এবার নতুন সঙ্কটের মুখে বিজেপি সরকার। সরকারি চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সংরক্ষণের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের প্যাটেল সম্প্রদায়ের কয়েক লক্ষ মানুষ জমায়েত হয় আহমেদাবাদে।
মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেলকে অনশন মঞ্চ থেকে তুলে নিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এর পরই উত্তেজনা চরমে ওঠে।
গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রজনী প্যাটেলের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত হার্দিককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আহমেদাবাদের কয়েকটি এলাকায় কার্ফু জারি হয়েছে। এর জেরে বৃহস্পতিবারও স্কুল বন্ধ থাকবে সেখানে।
এসব কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল। দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিজেদের ‘অন্যান্য অনগ্রসর জাতি’-র অন্তর্ভুক্ত করার দাবি নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকেই আন্দোলনে নেমেছে রাজ্যের প্যাটেল সম্প্রদায়। গুজরাটের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ এই সম্প্রদায়ভুক্ত। দীর্ঘদিন থেকেই বিজেপির ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত তারা। কিন্তু সংরক্ষণের দাবি রাজ্যের বিজেপি সরকারের সঙ্গে ক্রমশই তাদের দূরত্বের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার কয়েক লক্ষ প্যাটেল জমায়েত হয় আহমেদাবাদের জিএমডিসি ময়দানে।
এই সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাত্র ২২ বছর বয়সি হার্দিক প্যাটেল। তার ডাকে শুরু হওয়া ‘মহাসম্মেলন’কে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।
আন্দোলনের নেতা হার্দিক জানিয়েছেন, বিজেপি যদি অবহেলা করে, তা হলে ২০১৭’র বিধানসভা ভোটে গুজরাটে আর পদ্মফুল ফুটবে না। এর পর অনশন বসেন তিনি। ঘোষণা দেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেনকে অনশনস্থলে এসে দাবিপত্র নিয়ে যেতে হবে। এরপরই শুরু হয় হাঙ্গামা।
এদিকে প্রতিবাদকারীদের ওপর পুলিশি নিপীড়নের প্রতিবাদে বুধবার গুজরাটে ধর্মঘট ডেকেছেন হার্দিক।
এ পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সহিংসতার মাধ্যমে ভালো কিছু সম্ভব নয় বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৫
আরআই/