ঢাকা: কলম্বিয়ার সঙ্গে ভেনিজুয়েলার সীমান্ত বন্ধে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) মাদুরো কলম্বিয়ার সঙ্গে তার দেশের তাশিরা প্রদেশের একটি সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে সীমান্তে ভেনিজুয়েলার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক বেসামরিক লোক আহত হন। আহত সদস্যরা চোরাচালান বিরোধী ইউনিটের হয়ে টহল দিচ্ছিলেন সেসময়।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাতের বেলা কলম্বিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ভেনিজুয়েলা। ভেনিজুয়েলার প্রশাসন সেসময় জানায়, দেশে উৎপাদিত পণ্যের বিপুল অংশ রাতের আঁধারে পাশের দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। সেখানে এগুলো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
নিকোলাস মাদুরো সেসময় এ হামলার ঘটনায় কলম্বিয়ার ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করেন। এরপরই ভেনিজুয়েলার কর্তৃপক্ষ এক হাজারেরও বেশি কলম্বিয়ান অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেয়। এছাড়া আরও অন্তত ৫ হাজার কলম্বিয়ান স্বেচ্ছায় ভেনিজুয়েলা ত্যাগ করেন।
দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের দৈর্ঘ প্রায় ২,২০০ কিলোমিটার। এ দীর্ঘ সীমান্তের সবটুকু স্থানীয় সময় রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয় তখন।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) মাদুরো বলেন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, অপহরণ ও সব ধরনের চোরাচালান ঠেকাতে আমি তাশিরা প্রদেশে সীমান্তের দুই নম্বর জোন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সন্ত্রাস দমনে সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও তিন হাজার সেনা পাঠানো হবে জানিয়ে মাদুরো বলেন, এ ব্যাপারে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসের সঙ্গে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি আমি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
আরএইচ