জাকার্তা: এশীয় দেশগুলোর মন্ত্রীরা মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর বিদ্যমান উচ্চ হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে আরো জোড়ালো পদপে নেওয়ার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছেন তারা।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য আইসল্যান্ড থেকে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত মোট ২৫টি দেশের মন্ত্রী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ইন্দোনেশিয়ায় দু’দিন ব্যাপী এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রীরা যৌথ এক বিবৃতিতে বলেন, “এমডিজি’র কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে তা খুবই ধীর। আশা করা যাচ্ছে ২০১৫ সালের পর এসব লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। ”
বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়, “আমরা শুধু এ ক্ষেত্রে জোর পদক্ষেপ নিতে পারি...আমরা সঠিক ও অগ্রসর অঞ্চল গঠনে এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে বসবাসকারী ৯০ কোটি মানুষের চরম দরিদ্রতা চিহ্ণিত করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। ”
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কোন ব্যক্তির আয় দিনে সোয়া এক ডলারেরও কম হলে চরম দরিদ্র বলে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে “শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমানোর কাজে ধীর অগ্রগতি সম্পর্কে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও” এ সমস্যার তীব্রতা বিষয়ে কোনো সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি।
বৈঠকে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া চরম দরিদ্রতা এরইমধ্যে অর্ধেক কমিয়ে আনতে সম হলেও ভারত ও নেপালের মত দেশগুলোর এখনও অনেক পথ পাড়ি দেওয়া বাকি বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক কার্যাবলী বিষয়ক উর্ধতন কর্মকর্তা শাহ জাকাং।
এদিকে আসন্ন জাতিসংঘ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন যে দরিদ্রতার মাত্রা পাঁচ শতাংশের বেশি, এশিয়ার এমন ১১টি দেশ “আয়-দারিদ্র্য ল্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে”। এ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশসহ আরও আছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, জর্জিয়া ও উজবেকিস্তান। ”
উল্লেখ্য, আগামী মাসে এমডিজি নিয়ে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জাকার্তায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১০