ঢাকা: কেউ মিথ্যা বললে তার প্রতি সবার ঘৃণা-ভৎর্সনা-তিরস্কারের সীমা থাকে না। অনেকে প্রায় সমাজচ্যুতও হয়ে যায়।
নাম তার মাইক নাইলর (৫৯)। বসবাস ইংল্যান্ডের কামব্রিয়ায়। তিনি মিথ্যা বলতে বলতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছেন যে, এখন তার ঘর ‘বড় মিথ্যুকে’র পদক-পুরস্কারে ভরে গেছে। এ বছর জগতের সবচেয়ে বড় মিথ্যুকের ‘সম্মানজনক পুরস্কার’ও জিতেছেন তিনি। অবশ্য, গত তিন বছরও পদকটি উঠেছিল নাইলরের শোকেসে।
লন্ডনের পশ্চিম কামব্রিয়ায় প্রতিবছর মিথ্যা বলার প্রতিযোগিতা হয়। এতে অংশ নেন অনেক ‘মিথ্যুক’। প্রতিযোগীদের বলা মিথ্যা বিচারক-অতিথিদের হতবাক করলেও সবচেয়ে ‘বড় মিথ্যা’টা বলায় ‘বড় মিথ্যুকের’ পদক ওঠে নাইলরের হাতেই। তিনি ইংরেজ রাজপরিবার ও প্রিন্স চার্লসকে নিয়ে বিস্ময়কর একটি মিথ্যা গল্প ফাঁদেন। কোনো ধরনের লেখনি ছাড়া নাইলরের মিথ্যা বলার এমন ভঙ্গি ছিল যে, প্রতিযোগিতার বিচারক-অতিথি সবাই সেটাকে প্রায় সত্য ধরছিলেন।
বড় মিথ্যুকের খেতাব জেতার পর নাইলর বলেন, মিথ্যা বলতে গেলে দরকার কল্পনাশক্তির, দরকার চিন্তা করার ক্ষমতা। যার কল্পনাশক্তি অদ্ভুত সুন্দর, তার মিথ্যা বলার সক্ষমতা অনেক বেশি।
প্রতিযোগিতা জমে ওঠা প্রসঙ্গে নাইলর বলেন, এই পদক জেতা অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। প্রতিযোগিতায় আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
নাইলর জানান, ছোটবেলা থেকেই তার বানিয়ে বলার স্বভাব। সত্য বলায় তিনি আনন্দ খুঁজে পান না, সে কারণে রঙ-চঙ মাখিয়ে সবার মনের মত করে মিথ্যা বলতেই ভালবাসেন তিনি। আর এই দক্ষতাই তাকে ‘বড় মিথ্যুক’র পদক-পুরস্কার এনে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এইচএ/